শিলিগুড়ি: গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে তথ্য লোপাটের অভিযোগ। অভিযোগের আঙুল ফুলবাড়ি-১ (Fulbari) গ্রাম পঞ্চায়েত সদ্য বদলি হওয়া সচিব জেসমিন পারভিনের দিকে। এর আগে, জেসমিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে মদত দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। গ্রাম পঞ্চায়েতের আধিকারিক হওয়ার সূত্রে নিজের স্বামীর বেনামি সংস্থাকে তিনি টেন্ডার পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। ঘটনার খবর প্রকাশ হতেই জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা শাসকের অফিস থেকে জেসমিনকে বানারহাট (Banarhat) ব্লকের বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে বদলি করে দেওয়া হয়। যদিও এখনও পর্যন্ত তিনি সেই গ্রাম পঞ্চায়েতে কাজে যোগ দেননি বলে খবর। বিগত কয়েকদিন তিনি ফুলবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতেই কাজ করছেন বলে গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে।
এরই মাঝে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রধান সুনীতা রায় চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি মাতৃত্বকালীন অবস্থায় কিছুদিন অফিসে আসিনি। গ্রাম পঞ্চায়েতের দায়িত্ব কারও হাতে তুলে দিইনি। কারণ আমার মনে হয়েছে, দায়িত্ব হস্তান্তর করে দিলে পরবর্তীতে দায়িত্ব ফেরত দেওয়া হবে না। যেমনটা হয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েতের এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্টের সঙ্গে।’
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে জেসমিনকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরবর্তীতে এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট সুস্থ হয়ে এলেও জেসমিন তাঁকে দায়িত্ব ফেরত দেননি। এমনকি রাজগঞ্জের বিডিও অফিস থেকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে বললেও জেসমিন সেটা করেননি বলে জানিয়েছেন উপস্থিত জনপ্রতিনিধিরা। এই ঘটনায় জেসমিনের মাথায় প্রশাসনিক আধিকারিকদের কারও হাত থাকতে পারে বলেও মন্তব্য করা হয়েছে।
গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান নমিতা করাতি বলেন, ‘গতকাল প্রধানের অনুপস্থিতিতে আমি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে এসেছিলাম। প্রধানের সঙ্গে কথা বলেই অফিসের পরিস্থিতি দেখে আমাদের সন্দেহ অফিসের জরুরি কিছু তথ্য বাইরে পাচার করে দেওয়া হচ্ছে।’ পঞ্চায়েত সদস্য সঞ্জয় বিশ্বাসের বক্তব্য, ‘এমন কিছু তথ্য রয়েছে যা প্রধান, এবং আধিকারিকদের মধ্যেই থাকার কথা। আমরা সেই সমস্ত তথ্য সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পারছি। ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত হওয়া উচিত।’ এই প্রসঙ্গে সচিব জেসমিনের বক্তব্য, ‘বেশ কয়েক বছর থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতে কাজ করছি। কাজ বুঝিয়ে দিতে যেটুকু সময় লাগছে সেই কয়েকদিন থেকে চলে যাব। অভিযোগ করতেই পারে সেই প্রসঙ্গে কিছু বলার নেই।’