গয়েরকাটা: উপনির্বাচনের মুখে শহরজুড়ে বঞ্চনার পোস্টার। যা রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে (TMC)। ১৩ নভেম্বর রাজ্যে ছয়টি আসনে বিধানসভার উপনির্বাচন (Bypoll) ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। একদিকে যখন আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) তোলপাড় রাজ্য, সে জায়গায় দাঁড়িয়ে মাদারিহাট বিধানসভার অন্তর্গত গয়েরকাটাজুড়ে (Gairkata) এই বঞ্চনার পোস্টারে রীতিমতো অস্বস্তিতে শাসক দল।
গয়েরকাটা নাগরিক উন্নয়ন মঞ্চের তরফে ৫ দফা দাবিতে এই পোস্টার লাগানো হয়েছে শহরের বিভিন্ন স্থানে। দাবি তোলা হয়েছে, অবিলম্বে গয়েকাটাকে পূর্ণাঙ্গ থানা ঘোষণা করতে হবে, সরকার অনুমোদিত দমকলকেন্দ্র স্থাপন করতে হবে, বাংলা মাধ্যম কলেজ স্থাপন করতে হবে, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে, এমনকি গয়েরকাটাকে মাদারিহাট বিধানসভা থেকে সরিয়ে ধূপগুড়ি বিধানসভার অন্তর্গত করার দাবিও তোলা হয়েছে।
যদিও মাদারিহাট বিধানসভা ২০১৬ সাল থেকে বিজেপির গড় হিসেবেই পরিচিত। গত লোকসভা ভোটের হিসেবে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার অন্তর্গত সাকোয়াঝোরা ১ গ্রাম পঞ্চায়েত ও বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল বিজেপির চেয়ে প্রায় ৭ হাজার ৪০০ ভোটে পিছিয়ে আছে। যেখানে গোটা মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা ১২টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা নিয়ে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের ভোটের পার্থক্য রয়েছে ১১ হাজার ৬৩ ভোটের। ফলে এই ভোট আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্রের হলেও ভোটের ডিসাইডিং ফ্যাক্টর হতে চলেছে গয়েরকাটা সহ সমগ্র সাকোয়াঝোরা ১ ও বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। এলাকার কয়েকটি কাজে দুর্নীতির অভিযোগ ও এই ভোটে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এদিকে নাগরিক উন্নয়ন মঞ্চের এই দাবিকে সমর্থন করেছে বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, বানারহাট ব্লকের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি শহর গয়েরকাটা। এখানে শাসক দল চাইলেই উদ্যোগ নিয়ে একটি থানা স্থাপন করতে পারত। এমনকি প্রস্তাবিত দমকল কেন্দ্রও আজ পর্যন্ত স্থাপন হয়নি। তাই ওই এলাকার সচেতন মানুষ আগেও শাসক দলের বিরুদ্ধে ছিলেন, উপনির্বাচনেও শাসক দলের বিরুদ্ধেই ভোট দেবেন বলে দাবি বিরোধীদের।