অর্ণব চক্রবর্তী, ফরাক্কা: গঙ্গা-পদ্মার ভাঙনে রাজ্য বাজেটে বরাদ্দ হয়েছে ২০০ কোটি টাকা। কিন্তু এই বরাদ্দ যথেষ্ট নয় বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দা ও বিরোধীদের। গত দু’দশকে গঙ্গা ও পদ্মার ভাঙনে প্রায় ২৮০০ হেক্টর জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় এক হাজার কোটি টাকার ওপর। বুধবার রাজ্য বাজেটে ভাঙন প্রতিরোধের জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এই বাজেটে শাসকপক্ষ খুশি হলেও স্থানীয় বাসিন্দা এবং বিরোধীরা অসন্তুষ্ট।
সামশেরগঞ্জ ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি ইমাম হোসেনের মতে,‘গোটা রাজ্যে ২০০ কোটি টাকা কিছুই নয়।’ এলাকার বাসিন্দা হাফিজুল শেখ বলেন,‘ ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে বহু মানুষ বিপর্যস্ত। পাকাপাকি ভাঙন রোধ করতে গেলে মোটা অঙ্কের টাকা বরাদ্দ হওয়া দরকার।’
মুর্শিদাবাদ জেলা সেচ দপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার পরেশ নন্দী জানান,‘ মালদা ও মুর্শিদাবাদের ভাঙন রোধের বিষয়ে গত বছর একটা ডিটেল স্টাডি হয়েছিল। ভাঙন নিয়ে সার্ভে করে ডিপিআর বানানো হয়েছিল। টোটাল ওয়ার্কস স্কিমের জন্য ২৫০০ কোটি টাকার মডেল প্রকল্প হিসেবে প্ল্যান করা হয়েছিল। রাজ্য সরকারের তরফে তা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল।’
ফরাক্কা থেকে নিমতিতা পর্যন্ত কুড়ি কিলোমিটার এলাকা ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত। তার সঙ্গে মালদার আপস্টিমের বেশ কিছু জায়গাও রয়েছে। ২০২০ সাল থেকে ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে সামশেরগঞ্জে। ধুলিয়ান থেকে নিমতিতা পর্যন্ত এলাকাজুড়ে ১৫টি গ্রাম ভাঙনে বিপর্যস্ত। ভাঙন রোধের কাজ হলেও গতি খুবই মন্থর বলে অনেকের অভিযোগ। এখন সেই মডেল স্টাডির সুফল কবে ফলবে তাও সঠিকভাবে জানাতে পারেনি কেউই।