রাজু হালদার, গঙ্গারামপুর: গঙ্গারামপুর সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকা সহ শহরজুড়ে ব্যাং-এর ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে অনেক ডায়াগনস্টিক সেন্টার। সেগুলিতে প্রতিনিয়ত অনেক রোগীর বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষা হয়।
কিন্তু বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলির সরকারি অনুমোদন রয়েছে কিনা। থাকলেও তা পুনর্নবীকরণ করা রয়েছে কিনা। পাশাপাশি টেকনিসিয়ান সহ সমস্ত পরিকাঠামো রয়েছে কিনা।
এবিষয়ে শহরের শিক্ষারত্ন পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক সুদীপ্তসিংহ রায় বলেন, ‘দিন দিন শহরের পরিধি বাড়ছে, জনসংখ্যা বাড়ছে, সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে গজিয়ে উঠছে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার। সেগুলির কতটা পরিকাঠামো রয়েছে এনিয়ে আমাদের মনে সংশয় রয়েছে। এগুলির সঠিক নজরদারি প্রয়োজন।’
মাঝেমধ্যে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলি থেকে ভুল রিপোর্ট দেওয়া সহ চিকিৎসা বিভ্রাটের অভিযোগও সামনে এসেছে। এমন অবস্থায় শহরের বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলিতে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে নিয়মিত নজরদারির দাবি তুললেন শহরবাসী।
শহরবাসী স্বাধীন মল্লিকের কথায়, ‘গঙ্গারামপুর শহরে যেখানে সেখানে ডায়াগনস্টিক সেন্টার গজিয়ে উঠছে। সেগুলি থেকে মাঝেমধ্যে ত্রুটিপূর্ণ রিপোর্ট দেওয়া হয়। ফলে সমস্যায় পড়তে হয় রোগীদের। এমন সমস্যা সমাধানে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে নজরদারির প্রয়োজন।’
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাসের বক্তব্য, ‘ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলিকে অনুমোদন দেয় স্বাস্থ্য দপ্তর। পাশাপাশি নিয়মিত নজরদারিও চালানো হয়। তবে সাধারণ মানুষ যাতে সেখানে গিয়ে না ঠকে ও ঠিকমতো পরিষেবা পায় তার জন্য আগামীদিনে নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।’