গঙ্গারামপুরঃ শহরে বিভিন্ন নামী রেস্তোরাঁ, মিষ্টির দোকান কিংবা বেনামি খাবারের দোকানে বিশেষ অভিযান চালিয়ে চক্ষুচড়কগাছ সরকারি আধিকারিকদের। কোথাও বিষাক্ত রং সহ নিষিদ্ধ কেমিক্যাল ব্যবহার আবার কোথাও বহাল তবিয়তে চলছে লাইসেন্সহীন খাবারের দোকান। চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরির চিত্র ফুটে উঠল গঙ্গারামপুরের সর্বত্র।
মঙ্গলবার দুপুরে গঙ্গারামপুর শহরের বড়বাজার, নিউ মার্কেট, চৌপথি সহ সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন রেস্তোরাঁ মিষ্টির দোকান, কেকের দোকান এবং বিরিয়ানির দোকানে বিশেষ অভিযান চালায় ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর, লিগ্যাল মেট্রলজি এবং খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা। এদিন গঙ্গারামপুর শহরের সিংহভাগ মিষ্টির দোকানগুলিতে অভিযান চালিয়ে চক্ষুচড়কগাছ হবার জোগাড় হয় সরকারি আধিকারিকদের। বেশিরভাগ মিষ্টির দোকানে কারখানায় নিষিদ্ধ রং এবং কেমিক্যালের কৌটো উদ্ধার হয়। ফ্রিজার গুলি ছত্রাকে পরিপূর্ণ। সেখানে পচা মিষ্টি সংরক্ষণ করতে দেখা যায়। সিংহভাগ মিষ্টির দোকানের কারখানায় চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি তৈরি করতে দেখা যায়। বেশ কিছু দোকান থেকে পচা মিষ্টি ও মিষ্টি তৈরীর পচা সামগ্রী ফেলে দেন আধিকারিকরা।
সেইসঙ্গে বেশ কিছু দোকানে অভিযান চালিয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঠান্ডা পানীয় ও খাবার নষ্ট করে দেয় আধিকারিকেরা। এর পাশাপাশি বেশ কিছু দোকান থেকে ওজন মাপার যন্ত্র বাজেয়াপ্ত করেন লিগাল মেট্রলজি দপ্তরের আধিকারিকরা।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, গঙ্গারামপুর চৌপথি সংলগ্ন এলাকায় কোনওরকম লাইসেন্স ছাড়া বিরিয়ানির দোকান চালাবার চিত্র ফুটে উঠল। নিষিদ্ধ রং এবং কেমিক্যাল দিয়ে অবর্ণনীয় নোংরা হেঁশেলে বিরিয়ানি তৈরি করতে দেখা যায়। এর পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন দইএর বিপনী ও জল উৎপাদনের ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালান আধিকারিকেরা।
এবিষয়ে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিক মনোজিৎ রাহা জানান, আজ গঙ্গারামপুর শহরের বিভিন্ন রেস্তোরাঁ, মিষ্টির দোকান, কেকের দোকান সহ বিভিন্ন খাবারের দোকানে অভিযান চালানো হয়েছিল। প্রায় প্রতিটি দোকানে খাবারের গুণগত মান অত্যন্ত খারাপ। মিষ্টির দোকানের পরিচ্ছন্নতা একদমই নেই। সকলকে সতর্ক করা হয়েছে। উদ্বেগের বিষয় হল, গঙ্গারামপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে লাইসেন্সহীনভাবে বিরিয়ানির দোকান চলছে। দ্রুত লাইসেন্স করবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে খাবারের নমুনা সংগ্রহ করে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর এই ধরনের বিশেষ অভিযান চালানো হবে।