মোথাবাড়ি: একটা ভাঙ্গা নৌকা। নৌকা না বলে ডোঙা বলা ভালো। নৌকার ভিতর কিছু জাল, একটা ছোট উনুন আর একটা কুপি টিমটিম করছে। এই শীতের রাতে গঙ্গার (Ganges) নির্জনতাকে জয় করে পেটের টানে নদীর এ ঘাট থেকে ও ঘাট পাড়ি দেন মৎস্যজীবীরা। কোনও দিন মাছ পান, কোনও দিন পান না। কিন্তু মাছের আশায় ভেসে থাকতে হয় জলে। জলেই তাদের সংসার। এমনই এক মৎস্যজীবী সাধু চৌধুরী। তিনি জানান, মাসে দু-তিনটে বড় মাছ পেলেই সংসার চলে যায়। সেই আশাতেই গঙ্গায় টানা সাত দিন থেকে আট দিন ধরে পড়ে থাকেন। রাতে নিস্তব্ধতার মধ্যে মশারি টাঙিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। খুব ঠান্ডা লাগলে নৌকার ভিতর আগুন জ্বালানো হয়। যা মাছ মেলে তা কিছুটা নিজের জন্য রান্না করে পেট চালান।
শুধু সাধু নয়, শীতের রাতে হিমেল হাওয়ায় সাধুর মতো কয়েকশো মৎস্যজীবী জীবনকে বাজি রেখে গঙ্গা নদীবক্ষে তাদের জীবন অতিবাহিত করে চলেছেন। এদের খোঁজ করে না কেউ। তবে জীবন সংগ্রামে নেমে লড়াকু মৎস্যজীবীর বক্তব্য, প্রচন্ড শীতে তাঁদের অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি গঙ্গা নদীতে মাছ ধরার উপরে শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে রোজগারও বেড়েছে মৎস্যজীবীদের। এমনটাই জানালেন মৎস্যজীবী কিরন চৌধুরী। এভাবেই কেটে যায় দিনের পর দিন। কিন্তু মাছ ধরায় খামতি নেই এঁদের। কারণ মাছ ধরেই যে পেট চলে, চলে সংসার। যেই সংসারে সবাই মুখ চেয়ে বসে আছে এই মৎস্যজীবীদের (Fisherman)।