রানিগঞ্জ ও আসানসোলঃ অভিনব কায়দায় গাঁজা পাচার। মাছ বোঝাই গাড়িতে মাছের বাক্সের ভিতরে প্লাস্টিকের প্যাকেটে গাঁজা ভরে পাচারের পরিকল্পনা ছিল। সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দিল পুলিশ। গোপনসূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে আসানসোল পুলিশ কমিশনারেটের রানিগঞ্জ থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করল প্রায় ২ কুইন্টাল পরিমান গাঁজা। শুক্রবার সকালে এই গাঁজা উদ্ধার হয় ১৯ নং জাতীয় সড়কের পাঞ্জাবি মোড় সংলগ্ন এলাকায়।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ১৯ নং জাতীয় সড়কের পাঞ্জাবি মোড় সংলগ্ন এলাকায় যৌথ অভিওযান চালায় রানিগঞ্জ থানার পাঞ্জাবি মোড় ফাঁড়ির পুলিশ ও গোয়েন্দা দপ্তরের কর্মীরা। তারা সেখানে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থেকে আসা একটি মাছ বোঝাই চারচাকা গাড়িকে আটক করে তল্লাশি চালায়। তল্লাশিতে গাড়ির মধ্যে থেকে পাওয়া যায় প্রায় ৪২ টি মাছের থার্মোকলের বাক্স। বাক্সের উপরিভাগ বরফের চাদরে মোড়া ছিল। সেই সব বরফ সরিয়ে বাক্স খুলতেই চক্ষুচড়কগাছ হয়ে যায় পুলিশের। বাক্সের ভিতরে মাছের আড়ালে প্লাস্টিকের প্যাকেটে লুকোনো ছিল গাঁজা। ৩৯ টি থার্মোকলের বাক্স খুলে প্রায় ১৮০ কেজির বেশি পরিমাণ গাঁজা পাওয়া যায়। এই গাঁজার বাজার মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা বলে জানা গেছে। গাঁজা পাচারে ব্যবহৃত মাছের গাড়িটিকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থেকে বীরভূমের দুবরাজপুর নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এই বিপুল পরিমাণ গাঁজা। পুলিশের কাছে এমনটাই জানিয়েছে এই গাঁজা পাচারের সঙ্গে যুক্ত অভিজিৎ সাঁই, ও শুভঙ্কর সিংহ। দুজনকেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তার মধ্যে শুভঙ্কর ঐ গাড়ির চালক। দুজনেই বেলদা থানা এলাকার বাসিন্দা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। এদিন ধৃতদের আসানসোলের বিশেষ আদালতে তোলা হলে তিনদিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছে বিচারক।