উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: তিরুপতির মন্দিরে পদপিষ্টের (Tirupati Stampede) ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। আহতও হয়েছেন অনেকে। বুধবার রাতে পুজোর দেওয়ার টিকিট বিলিকে কেন্দ্র করে ভক্তদের মধ্যে হুড়োহুড়ির কারণে ঘটনাটি ঘটেছে। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু (Chandrababu Naidu) বুধবার রাতেই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছিলেন। বৃহস্পতিবার তিনি আহতদের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে যাবেন বলে জানা গিয়েছে। মৃতদের পরিবারের সঙ্গেও দেখা করবেন তিনি। তিরুপতিতে পদপিষ্টের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi), রাহুল গান্ধি সহ অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাই শোকপ্রকাশ করেছেন।
জানা গিয়েছে, তিরুপতি মন্দিরে বৈকুণ্ঠ একাদশীতে বৈকুণ্ঠদ্বার দর্শনের সুযোগ পান ভক্তরা। তার জন্য টিকিট সংগ্রহ করতে হয়। আর এই টিকিট সংগ্রহের জন্য বুধবার সকাল থেকেই ভিড় জমান প্রচুর পুণ্যার্থীরা। মোট ১ লক্ষ ২০ জনকে টিকিট দেওয়ার কথা ছিল। প্রায় ৯৪ কাউন্টার খুলেছিল তিরুপতি দেবস্থানম ট্রাস্ট। তবে সমস্যা তৈরি হয় বৈরাগী পট্টিতা পার্কের এমজিএম হাইস্কুল থেকে টিকিট বিলির সময়। বুধবার সকাল থেকে প্রায় ৪-৫ হাজার মানুষ ওই কাউন্টারের সামনে ভিড় জমিয়েছিলেন।
তিরুপতি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান নায়ডু জানান, লাইনে থাকাকালীন এক মহিলা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতেই একটি গেট খোলা হয়েছিল। আর সুযোগেই ভক্তদের একাংশ ভিড় ঠেলে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। যার জেরে পদপিষ্টের পরিস্থিতি তৈরি হয়। যদিও এই ঘটনায় প্রশাসনের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন তিনি (Lapse of administration)। তা সত্ত্বেও এই ঘটনার পর একাধিক প্রশ্ন উঠছে। ভক্তদের ভিড় হবে জেনে মন্দির কর্তৃপক্ষ তিরুপতি এবং তিরুমালা জুড়ে প্রায় ৩ হাজার পুলিশ মোতায়েন করেছিল। কিন্তু পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা থাকার পরও কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা নিয়ে বৈঠক করেছে তিরুপতি মন্দির কর্তৃপক্ষ।