পাল্লেকেলে: শনিবার প্রথম ম্যাচে মুখে চোট পেয়েছিলেন।
রবিবার দ্বিতীয় ম্যাচে যখন মাঠে নামেন তখনও চোটের জায়গায় ব্যান্ডেজ। যদিও ব্যথা-যন্ত্রণা ঝেড়ে ফেলে ম্যাচের নায়ক রবি বিষ্ণোই (Ravi Bishnoi)। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তিন উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কা ইনিংসকে বেঁধে রাখার পুরস্কার। নিজের যে সাফল্যের পিছনে নতুন হেডকোচ গৌতম গম্ভীরের (Gautam Gambhir) গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শকেও কৃতিত্ব দিচ্ছেন ভারতীয় লেগস্পিনার।
সিরিজ জয় নিশ্চিত করার পর সাংবাদিক সম্মেলনে বিষ্ণোই বলেছেন, ‘গম্ভীরভাইয়ের সঙ্গে আমার বন্ডিং ভালো। এর আগে লখনউ সুপার জায়েন্টসে ২ বছর ছিলাম একসঙ্গে। ফলে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না। গৌতমভাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ইনপুটস পাচ্ছি, যাতে আমি উপকৃত।
সিরিজের দুই ম্যাচে ভালো জায়গা থেকে শ্রীলঙ্কা ইনিংস হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়া। শনিবার শেষ ৩০ রানে ৯ উইকেট হারিয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে ৩১-এ সাত। তৃতীয় ম্যাচে আগামীকাল যে ছবিটাতে বদলে দিতে নারাজ ভারতীয় দল। তবে বিষ্ণোই কিছুটা অবাক প্রতিপক্ষের যে হারাকিরিতে। বলছিলেন, ‘ওরা স্পিন খুব ভালো খেলে। জানি না কী হচ্ছে।’
জিম্বাবোয়ে সফরে শুভমান গিলের নেতৃত্বে সাফল্য পেয়েছে ভারত। চলতি সিরিজে নেতা সেখানে সূর্যকুমার যাদব। পরপর দুই সিরিজে দুই অধিনায়ক। দুই সিরিজেই প্রতিপক্ষ দুরমুশ ভারতের হাতে। দুই অধিনায়কের তুলনা বিষ্ণোই বলেছেন, ‘খুব ভালো নেতৃত্ব দিচ্ছেন সূর্যভাই। আগেও ওর নেতৃত্বে খেলেছি অস্ট্রেলিয়া সিরিজে। শুভমানও জিম্বাবোয়েতে ভালোভাবে দল সামলেছে। অধিনায়ক বোলারকে ব্যাক করলে তারচেয়ে ভালো কিছু হয় না। দুজনেই আমাকে ব্যাক করেছেন।’
পিচ টার্ন পাচ্ছেন। কিছু কিছু বলে বাড়তি বাউন্স। ভারতীয় লেগির কথায়, ‘প্রথম ম্যাচে বল সেভাবে টার্ন করেনি। এদিন করেছে। বোলিংয়ে গতিটা সবসময় ব্যবহার করি। ভালো লাগে রং-আন করতে। বাঁহাতিদের বিরুদ্ধে যা কার্যকরও। পাশাপাশি ডেথ ওভারে আমার ওপর আস্থা দেখানো কৃতজ্ঞ টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে।’
তৃতীয় তথা শেষ ম্যাচেও দাপট বজায়ে বদ্ধপরিকর বিষ্ণোই। জয়ের হ্যাটট্রিকে শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করানো পাখির চোখ ভারতীয় শিবিরেরও। থাকছে রিজার্ভ বেঞ্চের বাকিদের দেখে নেওয়ার পালাও। শিবম দুবে প্রথম দুই ম্যাচে খেলেননি। কাল শিবম সম্ভবত প্রথম এগারোয়। হয়তো ওয়াশিংটন সুন্দরও।
অধিনায়ক সূর্যকুমারও পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। আত্মতুষ্টিতেও ভুগতে নারাজ। সমীহ করছেন প্রতিপক্ষকে। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার তুল্যমূল্য লড়াইয়ের কথা স্বীকার করেছিলেন। রবিবার ম্যাচ শেষে জানান, বৃষ্টির সুবিধা পেয়েছেন। দল ভালো খেলেছে, পাশাপাশি ভাগ্যের সাহায্যও মিলেছে।
দ্বিতীয় ম্যাচের পর্যালোচনা করতে গিয়ে সূর্য জানান, ১৬০ অথবা ১৫০-এর নিচে যে কোনও লক্ষ্য তাড়া করতে হলে ঠিকঠাক। তবে পরিস্থিতি সহজ ছিল না। বৃষ্টি তাদের কাজ কিছুটা সহজ করে দিয়েছে। পাশাপাশি ব্যাটাররাও দারুণ খেেলছে, জানাতে ভোলেননি সূর্য।
জোড়া জয়ে ভারতীয় শিবির ফুরফুরে মেজাজে। তরুণ ব্রিগেড। শুভমান-রিয়ান পরাগ-অর্শদীপ সিংদের মধ্যে বন্ডিং নজর কাড়ছে। জসপ্রীত বুমরাহর অবর্তমানে পেস ব্রিগেডের অন্যতম অস্ত্র অর্শদীপ যেমন সতীর্থ বিষ্ণোইকে নিয়ে মজার কথা শোনালেন। বলেছেন, ‘সবকিছুতেই তাড়াহুড়োর অভ্যাস ওর। লাঞ্চে দ্রুত খাওয়া-দাওয়া শেষ করে সোজা নিজের ঘরে। অনেকটা বোলিংয়ের মতোই। এদিন যেমন দ্রুত তিন উইকেট তুলে নিল।’