গাজোল: জায়গা দখলকে (Land grab) কেন্দ্র করে বুধবার গভীর রাতে ধুন্ধুমারকাণ্ড বাধল গাজোলের (Gazole) শিক্ষক পল্লী এলাকায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, বোমা পিস্তল নিয়ে জায়গা দখল করতে আসে একদল দুষ্কৃতী। প্রথমে এলাকায় হামলা চালায় তারা। যদিও এলাকাবাসী একসঙ্গে প্রতিরোধ করলে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীর দল।
স্থানীয় সন্ধ্যা মালাকার জানান, এখানকার প্রায় ছয় কাঠা জায়গা সরকারি খাস জমি। আগে এখানে একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ছিল। সেটি সরিয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার পর জায়গাটি ফাঁকাই পড়েছিল। গতকাল গভীর রাতে রথীন বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি প্রায় ২৫-৩০ জন দুষ্কৃতীকে সঙ্গে নিয়ে এখানে আসে। বোমা-পিস্তল নিয়ে সবাইকে ভয় দেখিয়ে একটি টিনের ঘর বানিয়ে ফেলে। এলাকার বাসিন্দারা প্রতিবাদ করলে দুষ্কৃতীরা ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। ইটের আঘাতে কয়েকজন আহতও হন। এরপর এলাকার সবাই মিলে প্রতিরোধ শুরু করলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয় অনন্ত মজুমদারের কথায়, এখানে প্রায় ১২ বিঘা খাস জমি ছিল। আশির দশকে বেশিরভাগ জমি পাট্টা দিয়ে দেওয়া হয়। বাকি ছিল প্রায় ছয় কাঠা জমি। সেই জমিতে ছিল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। সেটি সরিয়ে নেওয়ার পর জমিটি ফাঁকাই পড়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা নানা কাজে জমিটি ব্যবহার করতেন। গতকাল রাতে রথীন বিশ্বাস ২৫-৩০ জন দুষ্কৃতীকে নিয়ে এই জায়গা দখল করতে আসে। তাঁরা জানান, ভূমি দপ্তরের যোগসাজশে এই জমি নিজের নামে করেছে রথীন। তবে এর পেছনে রাজনৈতিক মদতও থাকতে পারে। গতকালের ঘটনার প্রতিবাদে এদিন এলাকার বাসিন্দারা একজোট হয়ে গাজোল থানায় (Gazole police station) লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এদিন বিতর্কিত জায়গায় এলাকার মহিলারা মহিলা সমিতির নামে একটি বোর্ড লাগিয়েছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এবিষয়ে ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক বিশ্বজিৎ মণ্ডল জানান, বিতর্কিত জমিটি ১৭৭ দাগের একটি সরকারি খাস জমি। কাগজপত্রে দেখা যাচ্ছে, জমিটি রথীন বিশ্বাসের নামে পাট্টা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের বক্তব্য, রথীন বিশ্বাস নামে ওখানে কেউ কোনওদিন ছিল না। ওখানে একটি স্কুল ছিল। বিষয়টি নিয়ে ১১ জুলাই সব পক্ষকে উপস্থিত থাকতে বলা হবে। সবার বক্তব্য শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।