কোচবিহার: জীবনের প্রথম ইন্টারভিউ। মনের মধ্যে চাপা টেনশন। ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার আগের মুহূর্তে বারবার ইন্টারনেট ঘেঁটে কিছু একটা পড়ছিলেন শৌভিক সরকার। ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ১টা। আচার্য্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল মহাবিদ্যালয়ের সেমিনার হলের ভেতর শুরু হয়েছে ইন্টারভিউ। আইসিআইসিআই লুম্বার্ড নামে একটি জেনারেল ইনসুরেন্স কোম্পানি বৃহস্পতিবার কলেজে এসে পড়ুয়াদের ইন্টারভিউ নেয়। প্রাথমিকভাবে আটজন পড়ুয়াকে এদিন বেছে নেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এদিনের পর আরেকদিন চূড়ান্ত ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। তারপর পড়ুয়ারা কাজে যোগ দিতে পারবেন। বর্তমান বাজারে পড়ুয়াদের চাকরির সুযোগ করে দিতে পারায় খুশি কলেজের প্লেসমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক চয়ন সাহা। তিনি বলেন, ‘প্রথমবার ক্যাম্পাসিংয়ে ৩৫ জন পড়ুয়া অংশ নিয়েছে। তঁারা (কোম্পানি) আটজনকে প্রাথমিকভাবে বেছে নিয়েছে। আরেকটি ইন্টারভিউ নিয়ে যোগ্য প্রার্থীদের বেছে নেওয়া হবে।’
বর্তমান বাজারে চাকরির জন্যে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে তরুণ প্রজন্ম। পড়া শেষ হওয়ার আগেই কলেজে ক্যাম্পাসিংয়ের সুযোগ পেয়ে খুশি পড়ুয়ারা। ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার আগে অর্থনীতির ছাত্র দিবাকর অধিকারীর চোখেমুখে ছিল চিন্তার ছাপ। চাপ কাটােত ব্যাগ থেকে জলের বোতল বের করে তেষ্টা মেটান তিনি। অবশ্য চিন্তা তো হবেই। প্রথমবার তিনি ইন্টারভিউ দিচ্ছেন। ইন্টারভিউতে উতরে গেলে কলেজ পাশ করেই চাকরি।
এরপর ইন্টারভিউ পর্ব সেরে বাইরে বেরিয়ে আসেন শৌভিক। সঙ্গে সঙ্গে এক বন্ধুকে জড়িয়ে ধরেন তিনি। তঁার চোখেমুখে তখন আত্মবিশ্বাস। বন্ধুকে তিনি জানান, ‘মনে হচ্ছে ডাক আসবে। চাকরিটা হয়ে গেলে ভালোই হয়।’
প্রাথমিকভাবে বেছে নেওয়া আটজনের মধ্যে শৌভিকের নাম থাকায় তঁার মুখে তখন চওড়া হাসি। বলেন, ‘বন্ধুরা মিলে ইন্টারভিউয়ের জন্য আবেদন করেছিলাম। নিজের নাম থাকায় ভালো লাগছে। কলেজে পড়তে পড়তে চাকুরির সুযোগ পাওয়াটা আমার কাছে স্বপ্নের।’