নয়াদিল্লি: ১০০ দিনের কাজে বকেয়া আদায়ের দাবিতে আগামী ২ এবং ৩ অক্টোবর রাজধানী দিল্লিতে তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে৷ এই পরিকল্পনায় কোনও পরিবর্তন আনা হবে না। বৃহস্পতিবার সংসদে তৃণমূলের দলীয় কক্ষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই বার্তা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, ‘২-৩ অক্টোবর দিল্লিতে কর্মসূচি হবে। উপস্থিত থাকবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ তবে অভিষেক এও বলেন, ‘স্থান অকুলান হওয়ায় রাজ্যের সব নেতাদের ডাকা হচ্ছে না। শুধু সাংসদ, বিধায়ক, জেলা সভাপতিদের ডাকা হচ্ছে দিল্লিতে৷ ব্লক নেতাদের রাখা হবে সাংসদদের বাড়িতে৷ দিল্লির বঙ্গভবনে থাকবেন বিধায়কেরা। অনিচ্ছা সত্ত্বেও দিল্লির সমাবেশ ছোট করা হচ্ছে। রামলীলার অনুমতি না মেলায় বিশালাকার সমাবেশ সম্ভব হবে না৷’
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন তথা পঞ্চায়েতরাজ মন্ত্রী গিরিরাজ সিং-র সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চায় তৃণমূল। কিন্তু গিরিরাজ সাক্ষাৎ করতে নারাজ। নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনে এসে তিনি জানিয়ে ছিলেন, ২-৩ তারিখ নাগাদ তিনি দিল্লিতে থাকবেন না। দলের নির্দেশে নির্বাচনী প্রচারে ছত্তিসগড় সহ মধ্যপ্রদেশে সফর করবেন তিনি। এদিন লোকসভায় বসে অভিষেকই দেখতে পান গিরিরাজ সিংকে৷ সাথে সাথে অনুরোধ করেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে, আগামী ২, ৩ অক্টোবর গিরিরাজ দিল্লিতে থাকবেন কি না জানতে, এবং তা চূড়ান্ত করতে৷ সুদীপ সেই মতো সরাসরি ট্রেজারি বেঞ্চে উপস্থিত হয়ে গিরিরাজের সঙ্গে কথা বলেন।
সূত্রের দাবি, গিরিরাজ সুদীপকে বলেন, ‘আমি জানি না, ওই সময়ে আমি দিল্লিতে থাকবো কি না। কারণ সেই সময়ে দলের কাজে আমাকে ছত্তিসগড় বা মধ্যপ্রদেশ যেতে হতে পারে৷ দিল্লিতে থাকলে আমি অবশ্যই দেখা করব বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে৷’ যদিও সেই সম্ভাবনা বড়ই ক্ষীন তা জানা গেছে গিরিরাজের শরীরী ভাষায়৷ এই প্রসঙ্গে অভিষেকের সাফ দাবি, ‘কেউ থাকুন, না থাকুন-আমরা যাব। সেই সময় দিল্লিতে থাকবেন স্বয়ং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীতে তিনি এবং ১৫ জন তৃণমূল সাংসদ একজোট হয়ে যাবেন রাজঘাটে গান্ধী স্মৃতিস্থলে, সম্মান জানাতে৷ ৩ অক্টোবর তৃণমূল কংগ্রেসের ধরনা কর্মসূচি হচ্ছেই। এর নড়চড় হবে না।’ তবে কৃষি ভবনের সামনে ধরনা নাকি অন্যত্র, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই কর্মসূচি নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। এখনও দিল্লি পুলিশের লিখিত অনুমতি মেলেনি৷ আগামী সপ্তাহে নেওয়া হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত৷ ‘২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেখি, তারপর ফাইনাল ডিসিশন’ – জানিয়েছেন ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ এবং দলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।