নয়াদিল্লি: ছোট্ট আরিহাকে তার নিজের দেশে মা-বাবার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। সোমবার নয়াদিল্লিতে জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. ফিলিপ একরম্যানের কাছে দু পাতার লম্বা একটি চিঠি পাঠিয়ে এমনই দাবি জানালেন কংগ্রেসের লোকসভা দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। একইসাথে জানালেন, ভারতবর্ষ তার সন্তানদের ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে সক্ষম। জার্মান সরকার যতই দায়িত্ব সহকারে ছোট্ট আরিহার যত্ন নিক না কেন, তার মা-বাবার চাইতে ভালো যত্ন কখনই নিতে পারবে না৷
অধীর এও বলেন, জার্মান শিশু সুরক্ষা সংস্থার প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখেও এটাই বলতে চাই, সন্তানকে তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়াই মানবিক এবং যুক্তিসঙ্গত। এক্ষেত্রে জার্মান রাষ্ট্রদূতের বিশেষ হস্তক্ষেপ দাবি করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
প্রসঙ্গত, মাস দেড়েক আগেই রুপোলি পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল রানি মুখার্জি অভিনীত ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ সিনেমাটি। নিজের সন্তানকে নিজের কাছে রাখার জন্য এক ভারতীয় তথা বাঙালি মা সাগরিকা চট্টোপাধ্যায়ের অসাধারণ লড়াইয়ের গল্প। সেই ছবি নিয়ে যখন চর্চা চলছে, তখন আর এক মা ধারার খবর উঠে এসেছিল সংবাদমাধ্যমে।
জার্মানিতে বসবাসকারী প্রবাসী ভারতীয় দম্পতি ধারা ও ভবেশের কাছ থেকে তাঁদের কন্যা সন্তান আরিহাকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ১৯ মাস ধরে সন্তানকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছিল, জার্মানিতে থাকতেন ধারা ও ভবেশ। ২০২১ সালে সেখানে তাঁদের কন্যা সন্তানের একটা চোট লাগে। হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে সুস্থও হয়ে যায় সে।
এরপরই নাকি ওই শিশুকে তুলে নিয়ে যায় সেখানকার শিশু সুরক্ষা সংস্থা। পরে ওই মামলায় সন্তানের বাবা-মা নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার পরেও সন্তানকে ফেরানো হয়নি বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই বিদেশ মন্ত্রক এই বিষয়টি দেখছে বলে জানিয়েছে।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানিয়েছেন, বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। জার্মানির ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। জার্মান সরকার ও আরিহার বাবা-মায়ের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে কেন্দ্র। এবার ছোট্ট আহিরার মুক্তি চেয়ে সরব হলেন অধীররঞ্জন চৌধুরীও।