প্রকাশ মিশ্র, মালদা: স্নাতকে মেজরে ফেল ৯৭ শতাংশ। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Gour Banga University) প্রথম সিমেস্টারের এই ফলাফলের প্রভাব পড়েছে পুনর্মূল্যায়ন ও স্ক্রুটিনিতেও। আশানুরূপ ফল না হওয়ায় প্রায় ৫০ হাজার ছাত্রছাত্রী তাঁদের উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়ন ও স্ক্রুটিনির (Exam Scrutiny) জন্য আবেদন জানিয়েছেন। কেউ একটি বিষয়ে, কেউ আবার চারটি বিষয়ে পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করেছেন। পরীক্ষার্থীদের আবেদন অনুযায়ী প্রায় এক লক্ষ উত্তরপত্র দেখতে হবে কর্তৃপক্ষকে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সামনে এখন এটাই বড় চ্যালেঞ্জ।
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২৫টি কলেজের প্রথম সিমেস্টারের পরীক্ষার (এনইপি) ফলাফল গত ৮ জুলাই প্রকাশিত হয়। তাতে দেখা যায়, ৯৭ শতাংশ পরীক্ষার্থী মেজর সাবজেক্টে ফেল করেছেন। যা রাজ্যে নজিরবিহীন বলা যায়। ফল প্রকাশের দিন থেকেই দফায় দফায় পরীক্ষার্থীদের আন্দোলনে (Students Protest) উত্তাল হয়ে ওঠে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। কোনও ফি ছাড়াই পুনর্মূল্যায়ন ও প্রকাশিত ফলাফল বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামেন স্নাতকের প্রথম সিমেস্টারের ছাত্রছাত্রীরা। পরে উপাচার্যের হস্তক্ষেপে খুব কম ফি দিয়ে একাধিক বিষয়ে উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের নির্দেশিকা জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপর দেখা যায়, প্রায় এক লক্ষ উত্তরপত্র যাচাইয়ের জন্য আবেদন জমা পড়েছে। অধ্যাপকদের একাংশ মনে করছেন, সময়ের মধ্যে এত উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়ন ও স্ক্রুটিনি করে ফলাফল ঘোষণা করা গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে সেই ফলাফলও কতটা আশাব্যঞ্জক হবে তা নিয়ে সংশয়ে পড়ুয়াদের একাংশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্ট্রোলার বিশ্বরূপ সরকার জানিয়েছেন, ‘প্রথম সিমেস্টারের প্রায় ৭০ হাজার উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়ন এবং স্ক্রুটিনির জন্য ৩০ হাজারের কিছু বেশি আবেদন জমা পড়েছে। মোটের উপর এক লক্ষের বেশি উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়ন এবং স্ক্রুটিনি করতে হবে। এজন্য কিছুটা সময় লাগছে। অধ্যাপকরা উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়ন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আশা করা যায় অগাস্টের শেষ সপ্তাহের মধ্যেই পুনর্মূল্যায়ন ও স্ক্রুটিনির ফলাফল ঘোষণা করতে পারব।’