উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বাম আমলে নন্দীগ্রামের হিংসা দেখে তৎকালীন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধি বলেছিলেন ‘হাড়হিম করা সন্ত্রাস’। এই তিনটি শব্দই তখন নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা বাংলাকে। সাধুবাদ জানিয়েছিল বিরোধীরা। ক্ষুন্ন হয়েছিল তৎকালীন শাসক সিপিএম। ঠিক তার ১৬ বছর পর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে হিংসা নিয়ে আরও কয়েক ডিগ্রি আক্রমণাত্মক ভাষায় নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা শোনা গেল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের মুখে।
শনিবার পঞ্চায়েত ভোট। অথচ ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি চলছে। গুলি, বোমাবাজি, প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। হিংসার ঘটনা নিয়ে এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তীব্র সমালোচনা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার কার্যত বাংলার উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে, রাজ্যপাল প্রশ্ন তুলেছেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটে যদি গণতন্ত্রের হত্যা হয়, তা হলে খুনি কে?’ নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে রাজ্যপাল বলেন, ‘রাজ্যে একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার জন্য নির্বাচন কমিশনকে দায় নিতেই পারে। বাংলার মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনার আপনাকে বলছি, এখনও সময় রয়েছে। মানুষের কাছে যান, তাঁদের সঙ্গে কথা বলুন। আপনার একদফায় ভোট ঘোষণা করেছেন। কেউ আপনাদের বাধা দেয়নি। এমনকি কলকাতা হাইকোর্টও নয়। দয়া করে মানুষের দাবি শুনুন।’
রাজ্যপাল বলেন, ‘আমি মা-শিশুদের কান্না শুনেছি। বাসন্তী, ক্যানিং, ভাঙড়, কোচবিহার সহ একাধিক জায়গায় সন্ত্রাস হয়েছে। আগুন নিয়ে খেলা হয়েছে। মানুষের জীবন ও রক্ত নিয়ে খেলা হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার নিজের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ। এই রক্তপাতের রাজনীতি বন্ধ হওয়া উচিত। অশ্বত্থমা নয় দ্রোণাচার্যের দায়িত্ব পালন করা উচিত কমিশনের। মানুষের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করে ভোট কর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা উচিৎ।’ তাঁর কথায়, ‘আমি ভেবেছিলাম, বাংলার গ্রামেগঞ্জে গিয়ে দেখব, চিত্ত হেথায় ভয় শূন্য, উচ্চ হেথায় শির। কিন্তু এসে দেখলাম একেবারে উলটোটা। মানুষের মনে ভয়। গ্রামে গিয়ে বিধবার কান্না শুনেছি, পুত্রহারা মায়ের কান্না দেখেছি। কী করে এসব বন্ধ হবে, যখন রক্তাসুরের হাতেই ক্ষমতা। মনে রাখতে হবে, রক্তাসুর থাকলে মহাকালীও থাকবে।’
রাজ্যপাল তাঁর বক্তৃতায় রাজীব সিনহার উদ্দেশে সরাসরি বলেন, ‘আমি আপনাকে নিয়োগ করেছি, আর আপনি আমাকে হতাশ করেছেন।’ এদিনের বক্তৃতায় পরতে পরতে তিনি কখনও রবীন্দ্রনাথ, কখনও শেক্সপিয়ারকে উদ্ধৃত করেছেন। কখনও তিনি বলেছেন, ‘নরক থেকে শয়তান উঠে এসেছে, তারা মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে।’ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে ৮ দফা পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যপাল। তাতে ভোটে আধাসামরিক বাহিনীর যথাযথ মোতায়েন, রুট মার্চ, স্ট্রং রুম পাহারা দেওয়া সহ বিভিন্ন সুপারিশ রয়েছে।
চ্যাংরাবান্ধা: বাবার ছোট্ট দর্জির দোকানের উপর নির্ভর করে কোনরকমে দিন গুজরান হয় পরিবারের। এই অভাবকে…
কিশনগঞ্জঃ পরকীয়ার জের! বৃহস্পতিবার রাতে বিহারের আরারিয়া জেলার তারাবাড়ি থানার পুলিশ হেপাজতে আত্মহত্যা করে জামাইবাবু…
শিলিগুড়ি: সেবক রোড সংলগ্ন এলাকার একটি নর্দমা থেকে উদ্ধার হল এক ব্যাক্তির মৃতদেহ। শনিবার সকালে…
মণীন্দ্রনারায়ণ সিংহ, আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলা হাসপাতালের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবের বারান্দায় নাকে রুমাল চাপা…
নাগরাকাটা: অনাবৃষ্টিতে জর্জরিত চা শিল্প। উদ্ভূত এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসার উপায় খুঁজছে শ্রমিক ও…
This website uses cookies.