উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: একাধিক অভিযোগ তুলে উপাচার্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ও আধিকারিকদের বড় অংশ। অনির্দিষ্টকালের আন্দোলনে নেমেছিলেন তাঁরা। সেই আন্দোলনের ৬০ দিনের মাথায় উপাচার্যকে পদ থেকে অপসারণ করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের তরফে ইমেল মারফত উপাচার্য সাধন চক্রবর্তীকে এ বিষয়ে জানানো হয়। এই সিদ্ধান্তে কার্যত খুশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকেই।
উল্লেখ্য, গত ১৪ মার্চ থেকে উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আন্দোলন চলছিল। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়কে দুর্নীতির আখড়া করে রেখে ছিলেন উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নির্মাণ কাজের জন্য বহু মূল্যবান গাছ কেটে বিক্রি করা হলেও তার কোনও হিসাব নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা অনিয়মিত হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের নিয়মিত বেতন দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে অনেককে কখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা যায়নি। মোট প্রায় প্রায় ২৬ লক্ষ টাকার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ছিল সাধনের বিরুদ্ধে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন রেজিস্ট্রারও। সে কারণে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে রেজিস্ট্রার চন্দন কোনারকে তাঁর পদে বহাল করা হয়। অন্যদিকে, উপাচার্যকে অপসারণ করে রাজ্যপাল বোস।