নয়াদিল্লি: মাদার টেরিজা প্রতিষ্ঠিত ‘মিশনারিজ অফ চ্যারিটি’র ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা নিয়ে বিতর্কে সরগরম রাজনীতি। সোমবার দুপুরে টুইটে বিষয়টি উল্লেখ করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সুরে কেন্দ্রের নিন্দা করে টুইট করেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনও। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রও টুইট করে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা শুরু হতেই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, কোনও ব্যাংক অ্যাকাউন্টই সরকারের তরফে বন্ধ করা হয়নি। বরং, ‘মিশনারিজ অফ চ্যারিটি’ স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার কাছে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার আর্জি জানায়। তবে সাহায্য হিসেবে বিদেশি মুদ্রা নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কেন্দ্রীয় অনুমোদন দেওয়া হয়নি ‘মিশনারিজ অফ চ্যারিটি’কে। সেই সক্রান্ত কিছু শর্ত পূরণ না হওয়ার জন্যই এমন পদক্ষেপ বলে দাবি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের।
যদিও সন্ধ্যের পর এই বিতর্কে মুখ খুলেছে মাদার হাউসও। বিবৃতি দিয়ে তারা জানিয়েছে, ‘মিশনারিজ অফ চ্যারিটি’র কোনও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেনি কেন্দ্র। বরং, সংস্থার তরফেই সব শাখাকে বিদেশি মুদ্রা সংক্রান্ত লেনদেন বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। তবে এটা ঠিক যে, বিদেশি মুদ্রা লেনদেন সংক্রান্ত যে কেন্দ্রীয় ছাড়পত্র প্রয়োজন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। গত ২৫ ডিসেম্বর সরকার সেই ছাড়পত্রের পুনর্নবীকরণ স্থগিত রেখেছে। আর সে কারণেই আপাতত কোনওরকম বিদেশি মুদ্রার লেনদেন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সংস্থার তরফে।
এরপরই আসরে নামেন বিজেপি নেতৃত্ব। শুভেন্দু অধিকারীর তরফে টুইট করে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ আনা হয়। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত। এ নিয়ে টুইট করে রাজ্য সরকারকে বিঁধেছেন বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্যও।