কোচবিহার : এবার আঙুর চাষ শুরু হচ্ছে কোচবিহারে। পুনের জাতীয় আঙুর গবেষণাকেন্দ্র ও উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ইউবিকেভি) যৌথ উদ্যোগে এই চাষ শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলক হিসাবে ইউবিকেভি’র ক্যাম্পাসে এই চাষ শুরু করা হয়েছে বলে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবব্রত বসু জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘উত্তরবঙ্গ তথা কোচবিহারে এইভাবে আঙুর চাষ এই প্রথম।’
ইউবিকেভি সূত্রে খবর, সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অধিকর্তা (ডাইরেক্টর অফ রিসার্চ) অশোক চৌধুরী পুনেতে আঙুর চাষের জাতীয় গবেষণাকেন্দ্রে গিয়েছিলেন। সেখানে জাতীয় গবেষণাকেন্দ্রের ডিরেক্টর কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানতে পারেন ডুয়ার্সের আলিপুরদুয়ার সহ সংলগ্ন এলাকায় আঙুর চাষের প্রয়োজনীয় আবহাওয়া ও জলবায়ু রয়েছে। আলিপুরদুয়ারের পার্শ্ববর্তী জেলা কোচবিহারের জলবায়ু ও আবহাওয়াও প্রায় একইরকম। যে কারণে পরীক্ষামূলকভাবে ইউবিকেভির ক্যাম্পাসে তিন বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে আঙুর চাষ শুরু করা হয়। পুনে থেকে আঙুরের কলম এনে মাসদুয়েক আগে এখানে লাগানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই শিকড় থেকে সফলভাবে আঙুর গাছ উঠেছে। সেগুলি ডালপালাও ছড়িয়েছে।
এ বিষয়ে ইউবিকেভির গবেষণা অধিকর্তা অশোক চৌধুরীর বক্তব্য, ‘আগামী বছর গাছগুলির ওপরের ডালপালা কাটা হবে। এরপর ডালপালার নীচের শক্ত কাণ্ড কলম করে ওয়াইন তৈরির আঙুর, জুস তৈরির আঙুর ও ফল হিসাবে খাবারের জন্য আঙুর ফলানোর চেষ্টা করা হবে। সব ঠিকঠাক থাকলে ২০২৭ সালে আমরা এর থেকে ফল পাব।’
প্রশ্ন উঠেছে হঠাৎ এখানে ওয়াইন তৈরির আঙুর ও জুস তৈরির আঙুর কেন ফলানো হচ্ছে? এবিষয়ে অশোকের জবাব, ‘উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন শিল্পপতি ওয়াইন কারখানা গড়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। ফলে এই আঙুর এখানে চাষ হলে উত্তরবঙ্গে আগামীদিনে ওয়াইন কারখানা তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। অনেকে আঙুরের জুস তৈরি করার কারখানাও করতে চান। তাই আমরা খাবারের আঙুরের পাশাপাশি ওয়াইন ও জুস তৈরির আঙুর চাষের কথা ভেবেছি।’