নয়াদিল্লি: বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের জুতোয় শুধু পা গলানো নয়, নয়া স্বর্ণযুগের সূচনার ইঙ্গিতও দিয়ে রাখল শুভমান গিলের তরুণ ভারত। এমনই দাবি গ্রেগ চ্যাপেলের। ভারতীয় দলের প্রাক্তন হেডকোচের মতে, ওভালের ঐতিহাসিক জয়ের হাত ধরে শুধু ভারতীয় ক্রিকেটে জোয়ার আনবে না, নয়া স্বর্ণযুগের সূচনা হতে চলেছে।
সাতের দশকে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটে পালাবদলের উদাহরণও টেনে গ্রেগের যুক্তি, ১৯৭২ সালের অ্যাসেজ সফরে তরুণ অস্ট্রেলিয়া দল একইভাবে ইংল্যান্ডের মাটিতে সাফল্যের জয়গাথা এঁকেছিল। পরবর্তী দশক হয়েছিল অজিদের। শুভমান ব্রিগেডের মধ্যে সেই সম্ভাবনা দেখছেন। গ্রেগ বলেছেন, ‘১৯৭২ সালে পালাবদলের পর্বে অনভিজ্ঞ অস্ট্রেলিয়া দল পা রেখেছিল ইংল্যান্ডে। বিল লরি, গ্রাহাম ম্যাকেঞ্জি, ইয়ান রেডপাথরা অবসরে। অনভিজ্ঞ দলের নেতৃত্বে আমার দাদা ইয়ান চ্যাপেল। শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজ ড্র রাখি আমরা। নিজের উপস্থিতি বুঝিয়েছিল ডেনিস লিলি। আগ্রাসন, ঐক্য এবং আত্মবিশ্বাসী-তরুণ ব্রিগেড রিংটোন সেট করে দেয়। যার স্পর্শে সাতের দশকে শুরু হয়েছিল সোনালি অধ্যায়ের। ভারতীয় দলের পারফরমেন্সে তারই ইঙ্গিত।’
গ্রেগের কথায়, রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলি-রবিচন্দ্রন অশ্বীনরা নেই। ওদের শূন্যতা শুধু পূরণই করেনি, নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে ভারতের এই তরুণ ব্রিগেড। ১৯৭২-এর অ্যাসেজে ওভাল টেস্ট মোড় ঘুরিয়ে দেয় অজি ক্রিকেটের। ভারতীয় দলের ওভাল-জয়েও ‘আমরাও পারি’ আস্ফালন। ইংল্যান্ডের আইকনিক টেস্ট কেন্দ্র ওভালে পিছিয়ে থেকে সিরিজ বাঁচানো শুধুমাত্র পরিসংখ্যান নয়। তার চেয়ে অনেক বেশি।
প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন মহম্মদ সিরাজকেও। গ্রেগ বলেছেন, ‘পাঁচটা টেস্ট, সপ্তাহ ছয়েকের লম্বা সিরিজে ১৮৫ ওভাল বল করতে শারীরিক সক্ষমতার সঙ্গে মানসিক জোর, দেশের হয়ে খেলার আবেগ জরুরি। জসপ্রীত বুমরাহর অনুপস্থিতিতেও নিজের দায়িত্ব দারুণভাবে সামলাল। বিশেষত, ওভাল টেস্টে ওর শেষ স্পেল ম্যাচ, সিরিজের ভাগ্য গড়ে দিল। সিরিজের শুরুতে কিছুটা নড়বড়ে। ছন্দে লাগছিল না। যে ভুলটা শুধরে নিয়ে নিজেকে দারুণভাবে মেলে ধরল।’
এদিকে, সিরাজের প্রশংসা করে বুমরাহকে খোঁচা ব্র্যাড হ্যাডিনের। প্রাক্তন অজি উইকেটকিপার-ব্যাটারের দাবি ভারতকে ম্যাচ জেতার সিরাজ, বুমরাহ নয়। হ্যাডিনের দাবি, ‘ভারতীয় পেস আক্রমণে সিরাজ যথার্থ অর্থেই নেতা। গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতিতে পারফর্ম করে দেখাতে পারে। ভুল করে, কিন্তু ভুল হওয়ার ভয়ে গুটিয়ে থাকে না। আগের দিন হ্যারি ব্রুকের ক্যাচ ফেলেছে। জঘন্য মিস। কিন্তু দমে যায়নি সিরাজ। এমন একজন সতীর্থকে সবাই চাইবে।’

