মুম্বই : ম্যাচটা ছিল ৯৩ দিন পর জসপ্রীত বুমরাহর ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের মঞ্চ। ম্যাচটা ছিল বুমরাহ বনাম বিরাট কোহলির দ্বৈরথের। যেখানে বুমরাহকে ছক্কা মেরে স্বাগত জানানোর পর ৬৭ রানের ইনিংসে প্রথম ভারতীয় হিসেবে টি২০-তে ১৩ হাজার রানের মাইলস্টোনে পা রাখেন কোহলি। এতকিছুর মধ্যে সোমবারের মুম্বই ইন্ডিয়ান্স-রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ম্যাচ ছিল পান্ডিয়া ব্রাদার্সের লড়াই। যে টক্করে ভাই হার্দিককে টেক্কা দেন দাদা ক্রুণাল। ৪৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ক্রুণাল আরসিবি-র জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। কিন্তু ভাইয়ের জন্য মন খারাপ ক্রুণালের।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ১০ বছর পর মুম্বইকে হারানোর স্বস্তির মধ্যেও ক্রুণাল বলেছেন, ‘জানতাম, দিনের শেষে একজন পান্ডিয়াই জিততে পারবে। হার্দিকের সঙ্গে বন্ডিং, ওর প্রতি আমার ভালোবাসা খুবই সহজাত। ও সত্যিই ভালো ব্যাটিং করেছে। আসলে ম্যাচ হার্দিকও জিততে চেয়েছিল। আমিও চেয়েছিলাম। কিন্তু বাস্তব হল, একটা কাউকে হারতেই হত। হার্দিকের জন্য খারাপ লাগছে।’
জয়ের জন্য শেষ ওভারে মুম্বইয়ের লাগত ১৯ রান। কিন্তু ক্রুণাল সেটা তাদের পেতে দেননি। উলটে জোড়া উইকেট নিয়ে ম্যাচ আরসিবি-র দিকে ঘুরিয়ে দেন। শেষ ওভারে বোলিং প্রসঙ্গে ক্রুণাল বলেছেন, ‘গত ১০ বছরে যে পরিমাণ ম্যাচ খেলেছি, তাতে শেষ ওভারে বোলিংয়ের অভিজ্ঞতা চলেই এসেছে। পরিকল্পনা করেই বোলিং করেছিলাম।’
১২ রানের জয়ে তিন নম্বরে উঠে আসার পরও আরসিবি শিবিরে খারাপ খবর রয়েছে। স্লো ওভাররেটের জন্য ১২ লক্ষ টাকা জরিমানা হয়েছে বেঙ্গালুরু অধিনায়ক রজত পাতিদারের। তিনি চতুর্থ অধিনায়ক যার চলতি আইপিএলে জরিমানা হল।
এদিকে, হার্দিক মনে করছেন তারা দুটি ছয় কম মেরেছেন। বলেছেন, ‘রান-উৎসব হল। ব্যাটিংয়ের জন্য উইকেট দুর্দান্ত ছিল। আমরা দুটি ছয় কম মারতে পেরেছি। আবারও লক্ষ্যের খুব কাছে এসে ব্যর্থ হলাম। বোলারদের জন্য বিশেষ কিছু ছিল না। ওদের দোষ দিয়ে লাভ নেই।’
চোট সারিয়ে ফেরা রোহিত আবারও ওপেনিংয়ে ব্যর্থ হন। যা নিয়ে হার্দিকের মন্তব্য, ‘গত ম্যাচে রোহিত ছিল না। তাই নমন ধীরকে আমরা ব্যাটিং অর্ডারে প্রোমোশন দিয়েছিলাম। কিন্তু এদিন রোহিত ফেরায় নমনকে নীচে নামতেই হত। আমাদের হাতে খুব বেশি বিকল্প ছিল না।’