হরিশ্চন্দ্রপুর: দীর্ঘ আটদিন নিখোঁজ থাকার পর গঙ্গার ঘাট থেকে উদ্ধার ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীর পচা গলা দেহ। ছাত্রীর খোঁজ দিতে অচেনা নম্বার থেকে ২ লক্ষ টাকা চেয়ে মেসেজ আসে পরিবারের একজনের ফোনে। মেসেজ আসার একদিনের মধ্যেই উদ্ধার হয় দেহ। এরপর থেকেই মৃত্যুর কারণ নিয়ে দানা বাঁধছে রহস্য। আত্মহত্যা নাকি খুন, ধোঁয়াশায় পরিবার। তাঁরা মৃত্যুর পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বারদুয়ারি এলাকার বাসিন্দা দীপ্তি ভগত (২০)। গত রবিবার বাড়ি থেকে বের হন কলেজ যাওয়ার উদ্দেশ্যে। কুলিক ট্রেনে করে যাওয়ার কথা ছিল রামপুরহাট। তারপর সেখান থেকে দুমকায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে যেত। মালদা টাউন স্টেশন পর্যন্ত বাড়ির সঙ্গে ছাত্রীর ফোনে কথা হয়। কিন্তু তারপর থেকেই নিখোঁজ। ফরাক্কা স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে বেরিয়ে যাওয়ার ছবি মিলেছে সিসিটিভিতে। এনটিপিসি নেতাজি সেতু থেকে তাঁর ব্যাগ এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার হলেও ছাত্রীর কোনও খোঁজ ছিল না।
পরিবারের লোকেরা প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে মনে করলেও শুক্রবার রাতে সেই ভুল ভাঙে। অচেনা একটি নাম্বার থেকে মেসেজ আসে পরিবারের একজনের মোবাইলে। সেখানে বলা হয় নিখোঁজ ছাত্রী কোথায় আছে তারা বলতে পারবে যদি ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। মেসেজ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রবিবার ফরাক্কার শংকরপুর ঘাট থেকে উদ্ধার হয় ছাত্রীর দেহ। কি এমন হয়েছিল যে ফরাক্কায় তাকে নামতে হয়েছিল। সম্পর্কের টানাপোড়েন নাকি অন্য কোনও কারণ? উঠছে একাধিক প্রশ্ন।