হরিশ্চন্দ্রপুরঃ দীর্ঘ সাত বছর ধরে নিখোঁজ হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবক। অবশেষে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে খোঁজ পাওয়া গেল ওই যুবকের। বর্তমানে বাংলাদেশে আটকে রয়েছেন এই ব্যক্তি। বাংলাদেশে আটকে থাকা ওই যুবকের নাম গোলাম মোস্তফা (২৯)। তার বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জাবরা বাগমারা গ্রামে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গোলাম মোস্তফা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। দীর্ঘ সাত বছর আগে হঠাৎ করেই বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। তার বৃদ্ধ বাবা মা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি চেষ্টা করলেও ছেলের সন্ধান পাননি। হঠাৎ করেই কয়েকদিন আগে গোলাম মোস্তফার একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তার সঙ্গে নিচে একটি লেখাও। সেখানে দেখা যায় গোলাম মোস্তফা বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার কোনও এক জায়গায় আটক রয়েছেন। অনুমান করা হচ্ছে তিনি বাংলাদেশের এক পুনর্বাসন কেন্দ্রে কিংবা সংশোধনাগারে রয়েছেন। এই ছবি হরিশ্চন্দ্রপুরের বাসিন্দাদের নজরে আসলে তারা গোলাম মোস্তফার বাবা-মাকে খবরটি দেন। সেখান থেকেই সমস্ত ঘটনার সামনে আসে। কিন্তু এই মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক কী করে বাংলাদেশে পৌঁছে গেলেন সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
আজ সকালে খবর পেয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশ প্রশাসন জাবরা গ্রামে গোলাম মোস্তফার বাড়িতে যান। সেখানে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখেন। প্রশাসনের তরফ থেকে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই যুবককে ফেরাবার চেষ্টা শুরু হয়েছে।
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য আবদুল হাইয়ুম বলেন, ‘বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারি। তারপরে আমরা সনাক্ত করি ছেলেটি আমারই গ্রামের। স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে কথা হয়েছে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। যাতে অবিলম্বে গোলাম মোস্তাফাকে ঘরে ফেরাবার ব্যবস্থা করা যায় সেই বিষয়ে কথা চলছে।’
বৃদ্ধ বাবা শেখ আনারুল বলেন, ‘এত বছর পর ছেলের খোঁজ পাব ভাবতে পারিনি। হঠাৎ করেই আমার ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছিল। তবে বাংলাদেশ থেকে কী করে বাড়ি ফিরিয়ে আনব, সেটা নিয়ে এখন চিন্তায় পড়েছি। আশা করব প্রশাসন আমাদের পাশে রয়েছে।’
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কীভাবে বর্ডার পেরিয়ে বাংলাদেশে গেলেন মানসিক ভারসাম্যহীন গোলাম মোস্তাফা? সেখানে কোথায় কী পরিস্থিতিতে ছিলেন এতদিন? আর এখন তাঁকে বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার কী নিয়ম রয়েছে? এমন অজস্র প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জাবরা বাগমারা গ্রামে।