হরিশ্চন্দ্রপুর: এবার লোকসভা ভোটে (Lok sabha election 2024) হরিশ্চন্দ্রপুর (Harishchandrapur) সদরে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) ভোট কমেছে। আর এরপরই হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের বিরোধী দলনেত্রী মন্দিরা দাসকে অপসারণ করা হয়। এই অপসারণের এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই সরাসরি তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে এলাকায় কনট্রাক্টর রাজ চালানো সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন মন্দিরা দাস। এই পঞ্চায়েত এই মুহূর্তে জোটের দখলে রয়েছে। তৃণমূল রয়েছে বিরোধী আসনে। সেই পঞ্চায়েতে বিরোধী দলনেত্রী ছিলেন এলাকার তৃণমূল যুব নেতা পূজন দাসের স্ত্রী মন্দিরা দাস, যিনি কাশিমপুর বুথ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের কিছুদিন পরই তৃণমূলের আট সদস্য মন্দিরা দাসকে বিরোধী দলনেত্রীর পদ থেকে সরানোর জন্য অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। সেই জায়গায় নতুন বিরোধী দলনেত্রী হন নাসিমা খাতুন। কিন্তু এই ঘটনা নিয়ে দলের অন্দরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। অপসারিত বিরোধী দলনেত্রী এবং তাঁর স্বামীর প্রশ্ন, কোনও কিছু না জানিয়ে কী কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? কারা নিল এই সিদ্ধান্ত?
মন্দিরা এবং তাঁর স্বামীর অভিযোগ, অঞ্চল সভাপতি ঠিকাদার সঞ্জীব গুপ্তা তাঁদের কাছে কাজ এবং কাটমানির দাবি করছিলেন। দলেরই কিছু নেতার মদতে এলাকাজুড়ে জমি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য চলছে। চলছে অবৈধভাবে জমি দখল। সেই দুর্নীতির পথে তাঁরা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। এসব কারণেই তাঁকে সরানো হয়েছে। আরও অভিযোগ, এই দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারাই লোকসভা ভোটে বিজেপি, কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দলের ক্ষতি করেছে। আর এর পেছনে অঞ্চল সভাপতি সহ এলাকার এক দাপুটে নেতার হাত রয়েছে। এলাকার রাজনীতির রিমোট কন্ট্রোল যাঁর হাতে। যদিও কে সেই দাপুটে নেতা প্রকাশ্যে এনিয়ে মুখ খোলেননি মন্দিরাদেবী। তাঁর বক্তব্য, ‘আমি আগে থেকে কিছুই জানতাম না। যেহেতু আমি দুর্নীতিতে সায় দিতাম না, তাই হয়তো চক্রান্ত করে আমাকে সরানো হল।’
অঞ্চল সভাপতি সঞ্জীব গুপ্তা জানান, সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। আটজন সদস্য অনাস্থা এনেছে। নিশ্চয়ই কিছু সমস্যা হয়েছিল বলে এনেছে। এক্ষেত্রে তাঁর কিছু করার নেই। এদিকে দলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর তৃণমূল কংগ্রেস।