আলিপুরদুয়ার: কিছুদিন আগেই হাসিমারা বায়ুসেনা ছাউনি সংলগ্ন একটি উঁচু গাছে উঠে উঁকিঝুঁকি মারার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিল এক যুবক। মঙ্গলবার ফের শিরোনামে হাসিমারা বায়ুসেনা ছাউনি এলাকা। সূত্রের খবর, ওই এলাকায় একটি ড্রোন উড়তে দেখে বায়ুসেনা কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি তারা আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশকে জানায়। এর পরেই জেলা পুলিশের নির্দেশে ফালাকাটা থানা ও মাদারিহাট থানার পুলিশ ড্রোন খুঁজতে অভিযানে নামে। তারা ড্রোনের লোকেশন ট্র্যাক করেন। দেখতে পারেন ড্রোনটি শেষবার দেখা গিয়েছিল দক্ষিণ খয়েরবাড়ি জঙ্গল এলাকায়। সেখানেও তল্লাশি চালায় পুলিশ। বুধবার ভোর পর্যন্ত ড্রোনের খোঁজে তল্লাশি চলে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ড্রোনের হদিস পায়নি পুলিশ। তবে ড্রোন ব্যবহার নিয়ে এবার কড়া পদক্ষেপ নিতে চলছে আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ। বিয়েবাড়ি, রিলস, শর্ট ফিল্ম বা অন্য কোনও কাজে ড্রোনের ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা হচ্ছে পুলিশ সূত্রে খবর।
এদিকে ড্রোন নিয়ে এখন কড়া পদক্ষেপ নিতে চলছে আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশি বলেন, জেলার কোথাও ড্রোন ব্যবহার করতে গেলে পুলিশের আগাম অনুমতি নিতে হবে। মানতে হবে নির্দিষ্ট নিয়ম। তা না হলেই আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, কোথায়, কোন কাজে, কতক্ষণের জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হবে তার আগাম অনুমতি স্থানীয় থানা থেকে নিতে হবে। এমনকি ড্রোনের রেজুলেশন, উচ্চতার যাবতীয় তথ্য বাধ্যতামূলকভাবে থানায় জমা করতেই হবে। যদি দেখা যায় এসব না করেই কেউ ড্রোন ব্যবহার করছেন পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। প্রয়োজনে গ্রেপ্তারও করা হবে।
কিন্তু হঠাৎ ড্রোন ব্যাবহারে কেন পুলিশ রাশ টানতে চাইছে? জানা গিয়েছে, এমনিতেই আলিপুরদুয়ার জেলা সামরিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। জেলার হাসিমারাতে আছে বায়ুসেনা ছাউনি। যেখানে রাফালের মতো শক্তিশালী বিমান রাখা আছে। এছাড়াও আছে সামরিক সেনা ছাউনি। ফালাকাটাতে আছে দুটি এসএসবি ক্যাম্প, আছে জলদাপাড়া, বক্সার মতো জাতীয় উদ্যান। আবার আলিপুরদুয়ার অন্তর গুরুত্বপূর্ণ একটি রেল জংশন। এছাড়াও ভারত-ভূটান সীমান্ত। এই জেলা থেকে আবার বাংলাদেশ সীমান্ত বেশি দূর নয়। সামরিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই জেলায় তাই ড্রোন ব্যবহারে রাশ টানা হয়েছে।