উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ৫ অগাস্ট দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়ার পর প্রথম প্রকাশ্য বিবৃতি দিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। ৩ মাস আগে ছাত্র-জনতার প্রবল বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন হাসিনা। এখনও ভারতেই আছেন তিনি। তারপর থেকে বহু পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশে (Bangladesh)। তার দল আওয়ামি লিগের হাজার হাজার কর্মী আত্মগোপন করে রয়েছেন, অনেকে খুন হয়েছেন। বিগত সরকারের মন্ত্রীদের অনেককে কারান্তরালে রাখা হয়েছে। দেশজুড়ে আওয়ামি লিগের কার্যালয় ভাঙচুর হয়েছে, আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ৩ নভেম্বর জেল দিবস উপলক্ষ্যে এক দিন আগে বিবৃতি দেন শেখ হাসিনা। তাঁর সেই বিবৃতি ফেসবুকে আওয়ামি লিগের ভেরিফায়েড পেজে আপলোডও করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানকে হত্যার পরে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ভোরে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে চার জাতীয় নেতা বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ দুই সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলি এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এই ঘটনাকে স্মরণ করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন হাসিনা। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি বরাবরই দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে দেশের গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত করতে এবং স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করতে বারবার হামলা করেছে। কিন্তু দিনশেষে ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হয়নি এবং ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে।’
এরপরই আজকের বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আজকের অবরুদ্ধ বাংলাদেশ কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে পরিণত হয়েছে, যেখানে মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই, শোক পালনের অধিকার নেই। পঁচাত্তরের পরেও কুচক্রিমহল একই পরিবেশ তৈরি করেছিল। আজ প্রশ্ন জাগে, মুক্তিযোদ্ধারা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিল? ইতিহাসের নির্মম বাস্তবতা হলো, সময়ের পরিক্রমায় একদিন সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা হবে। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের চেতনা চির জাগরূক থাকবে। এবং জাতীয় চারনেতার অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।’