উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের হাথরসে নারায়ণ সাকার ওরফে ‘ভোলেবাবা’ নামে এক স্বঘোষিত ধর্মগুরুর (Self-styled Godman) সৎসঙ্গে বড়সড়ো দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। পদপিষ্ট (Hathras Stampede) হয়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১২১ জনের। এই ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় আয়োজক সৎসঙ্গ কমিটিকে দায়ী করছেন। বুধবার সকালেই এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তবে এফআইআরে স্বঘোষিত নাম নেই ধর্মগুরু ভোলেবাবার (Hathras Bhole Baba)। এফআইআরে রয়েছে শুধুমাত্র অনুষ্ঠানের আয়োজকদের নাম। এলাহাবাদ হাইকোর্টে সেই মর্মে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। হাথরসের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবিও জানানো হয়েছে।
হাথরসের জেলা শাসক আশিস কুমার জানান, রতিভানপুরের মুঘলাগড়ি গ্রামে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠান শেষ হতেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় অনেকের। হুড়োহুড়ির কারণ স্পষ্ট নয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, নারায়ণ সাকার ওরফে ‘ভোলেবাবা’ নামে এক স্বঘোষিত ধর্মগুরুর জন্য সৎসঙ্গের আয়োজন করেছিল ‘মানব মঙ্গল মিলন সদ্ভাবনা অনুষ্ঠান কমিটি’। সৎসঙ্গকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে প্রবল উৎসাহ তৈরি হয়েছিল। কয়েকহাজার ভক্ত একটি ছোট ঘেরা জায়গায় জড়ো হয়েছিলেন। সেখানে ছিল না ফ্যানের ব্যবস্থা। অনুষ্ঠানের শেষ দিকে ভিড়ের চাপে দমবন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বহু মানুষ একসঙ্গে অনুষ্ঠানস্থল থেকে বার হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু বেরোনোর রাস্তাটি সংকীর্ণ হওয়ায় হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। অনেকে ভিড়ের চাপ সামলাতে না পেরে পড়ে যান। তাঁদের ওপর দিয়ে চলে যায় জনতা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বেশ কয়েকজনের।