উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: রানিনগর ২ পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটি গঠনে স্থগিতাদেশ কলকাতা হাইকোর্টের। সোমবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা এই নির্দেশ জারি করেন। যদিও ইতিমধ্যেই গঠিত হয়েছে স্থায়ী কমিটি, কিন্তু আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের আগে তা কার্যকর হবে না বলে সাফ জানিয়েছেন বিচারপতি। মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ১৪ সেপ্টেম্বর।
রানিনগর ২ পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট আসন সংখ্যা ২৭। তারমধ্যে কংগ্রেস ও বাম জোট পেয়েছে ১৪টি আসন। তৃণমূল পেয়েছে ১৩টি। গত শুক্রবার কংগ্রেসের স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচিকে ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়ায় রানিনগরে। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে রানিনগর থানা ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। তার ফলে রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুদ্দুস আলি সহ ৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সভাপতির গ্রেপ্তারির পর ৩ জন কংগ্রেস সদস্য যোগ দেয় তৃণমূলে। অন্যদিকে রানিনগর ২ পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটি গঠন করা নিয়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল এই অভিযোগেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস। মহামান্য আদালতের কাছে কংগ্রেসের সদস্যরা দাবি করে, ভয় দেখিয়ে তাদের দলের কর্মীদের দল বদল করতে বাধ্য করেছে তৃণমূল। তবে শাসক দলের সন্ত্রাস এখানেই থেমে নেই, তারা নাকি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুদ্দুস আলিকে পুলিশ দলবদলে চাপ দিতে গ্রেপ্তার করেছে বলেও বিচারপতিকে জানায় কংগ্রেস। এই অভিযোগ শোনার পরই এদিন বিচারপতি সিনহা রানিনগরে বোর্ড গঠনের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেন। পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত রানিনগরের রাজনৈতিক পরিবেশ কেমন থাকে সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
এদিনের আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে গোটা বাংলাকে গিলে খেতে চাইছেন তা থেকে একমাত্র বাঁচাতে পারে আদালত।’ অন্যদিকে রবিবার কুদ্দুস আলি বলেছিলেন, ‘আমাকে তৃণমূলে যোগদানের জন্য চাপ দিচ্ছেন থানার বড়বাবু।’