মাদারিহাট: পানীয় জলের সমস্যা মেটানোর দাবিতে টোটোপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তালা বন্ধ করে চলে গেলেন। সমস্যা না মেটা পর্যন্ত তাঁরা ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন। কয়েক মাস ধরে টোটোপাড়াজুড়ে তীব্র পানীয় জলের সংকট চলছে। এরমধ্যে টোটোপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অবস্থা সবচেয়ে ভয়ংকর। স্বাস্থ্যকর্মীরা এতদিন অনেক দূর থেকে প্রতিবেশীদের বাড়ি থেকে জল এনে জলসমস্যার সমাধান করার পাশাপাশি রোগীদের পরিষেবা দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু প্রতিবেশীদের জল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাঁদের অনেক দূর থেকে জল আনতে হচ্ছে। বীরপাড়া-মাদারিহাট ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবজ্যোতি চক্রবর্তীকে তাঁরা সমস্যা মেটানোর আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি কোনও পদক্ষেপ করেননি বলে অভিযোগ। অবশেষে শনিবার স্বাস্থ্যকর্মীদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়।
এদিন বিকালে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে তিনজন নার্স ও একজন ফার্মাসিস্ট স্বাস্থ্যকেন্দ্র ছেড়ে চলে যান। জনস্বাস্থ্য কারগরি দপ্তরের আলিপুরদুয়ার জেলা সহকারী বাস্তুকার প্রমিত মিত্রের কথায় ‘জলস্তর নীচে চলে যাওয়ায় জল পাওয়া যাচ্ছে না। এক নম্বর গভীর নলকূপ খারাপ থাকার জন্য চার নম্বর পাম্প থেকে জল পাঠাতে হচ্ছে। ফলে দুটো চাপ ওই পাম্প নিতে পারছে না। চেষ্টা চলছে দ্রুত সমাধান করার।’ টোটোপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, জল ছাড়া বাঁচা সম্ভব নয়। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্র ছেড়ে চলে যাচ্ছি।
রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বকুল টোটো বলেন, ‘টোটোপাড়ায় চারটি গভীর নলকূপ আছে। তিনটিতে সামান্য জল এলেও একটিতে দু’মাস ধরে আসছে না। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে ভুটানের যে উৎস থেকে জল আসত সেটি শুকিয়ে যাওয়ায় জল আসছে না। এদিকে রোগীদের ভিড় লেগে আছে। হাত ধোয়ার জল পর্যন্ত নেই। বাথরুমের অবস্থা আরও ভয়ংকর। দুর্গন্ধে টেকা দায়।’ তাঁর সংযোজন, ‘গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে চিকিৎসক নেই। তিনজন নার্স ও একজন ফার্মাসিস্ট স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালাচ্ছিলেন। জল ছাড়া কীভাবে থাকা যায়।’
টোটো কল্যাণ সমিতির সভাপতি অশোক টোটো জানান, টোটোপাড়ায় জলের হাহাকার চলছে। কেউ কেউ চার কিলোমিটার দূর থেকে জল আনতে যাচ্ছেন। এমনিতে চিকিৎসক নেই। স্বাস্থ্যকর্মীদের ভরসায় এখানকার চিকিৎসা পরিষেবা চলছিল। অশোকের কথায়, ‘এখন সামান্য অসুস্থ হলে স্থানীয় বাসিন্দাদের ২২ কিলোমিটার দূরে মাদারিহাট যেতে হবে। গাড়ি রিজার্ভ করতে ৩-৪ হাজার টাকা গুনতে হবে। জঙ্গল ও নদী পথে রাতবিরেতে কী হবে বলা মুশকিল।’ মাদারিহাট ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবজ্যোতি চক্রবর্তীকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ রিপোর্ট করেননি বলে তিনি জানান। তবে জলের সমস্যার কথা তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। আলিপুরদুয়ার জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়কে ফোন করলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
পতিরাম: এ যেন ফিল্মি কায়দায় চুরি। পরিবারকে গ্যাস স্প্রে করে অচৈতন্য করে বাড়ির সর্বস্ব চুরি…
কালিয়াচক: কালিয়াচকের রাজনগর মডেল গ্রামে বোমা বিস্ফোরণের পর আরও এক জার বোমা উদ্ধার (Bomb recovered)…
বিশ্বজিৎ সরকার, করণদিঘি: মাইনোরিটি স্কলারশিপের (Minority Scholarship Scam) কোটি কোটি টাকা তছরুপের দায়ে অভিযুক্ত মহম্মদ…
রাহুল দেব, রায়গঞ্জ: আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও খুনের চেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার(Arrest) করেনি পুলিশ। এলাকায় বহালতবিয়তে…
দুর্গাপুর: বাংলাদেশে পাচারের পথে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের(STF) জালে ধরা পড়লো বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ…
অরিন্দম বাগ, মালদা: সামান্য বৃষ্টি, হালকা হাওয়া আর মুহুর্মুহু বজ্রপাত। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাতেই প্রাণ হারিয়েছেন…
This website uses cookies.