সানি সরকার, শিলিগুড়ি: উত্তর সিকিমে (Sikkim) বৃষ্টির তীব্রতা কমতেই জল নামছে তিস্তায় (Teesta River)। ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে তিস্তাবাজার। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশাপাশি হালকা যান চলাচল শুরু হয়েছে কালিম্পং-দার্জিলিং রুটে। কিন্তু তিনদিন পরেও উত্তর সিকিমে বেড়াতে গিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগে (Heavy Rain in Sikkim) আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পর্যটকদের উদ্ধারে যে বায়ুসেনা তৈরি, তা শনিবারই সিকিম প্রশাসনকে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু এয়ারলিফটের অনুকূল আবহাওয়া এদিন ছিল না লাচুংয়ের মতো জায়গাগুলিতে। এখনই যে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটবে না, সেই পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। এমন পরিস্থিতিতে সড়ক ব্যবস্থার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
শুক্রবার যে কাজে হাত দিয়েছিল বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন (বিআরও), বৃষ্টির ব্যপ্তি এবং তীব্রতা কম থাকায় শনিবার তা গতি পায়। বেশ কিছু রাস্তা থেকে যেমন ধসের মাটি-পাথর সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তেমনই কয়েকটি এলাকায় সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু কবে থেকে পর্যটকদের উদ্ধারের কাজ শুরু হবে, তা এদিনও স্পষ্ট নয়। এদিন মেল্লি পরিদর্শনে এসে সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস আমরা পেয়েছি। পর্যটকদের উদ্ধারের বিষয়টি অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। পুনর্গঠনের কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। আশা করছি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’
সিকিমে বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধারে তৎপর হয়ে উঠছে নবান্ন। পর্যটকরা কেমন অবস্থায় রয়েছে, তাঁদের উদ্ধারে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, সমস্ত কিছুরই খোঁজ রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পর্যটন দপ্তরের তরফে শুক্রবার রংপোতে চালু করা হয় পর্যটক সহায়তা কেন্দ্র। শনিবার দার্জিলিংয়ের সিংলা চেকপোস্টেও এমন একটি সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পর্যটন দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, ‘নবান্ন থেকে নিয়মিত খোঁজ রাখা হচ্ছে। পর্যটকদের উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু হলেই সিকিম পাহাড় থেকে তাঁদের সমতলে ফিরিয়ে আনতে গাড়ির ব্যবস্থা করা হবে। হোটেলের ব্যবস্থাও আমাদের তরফে করা হবে।’ কালিম্পং জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে তিস্তাবাজার সহ কয়েকটি এলাকার পরিস্থিতি সংক্রান্ত রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রী নিয়েছেন বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর।
যদিও তিস্তাবাজার এলাকাটি অনাথ হয়ে রয়েছে বলে এদিন মন্তব্য করেছেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্ট। তিস্তাবাজারের পরিস্থিতি পরিদর্শন করে বিস্ট বলেন, ‘একজন সাংসদ হিসেবে যা যা করার, তা আমি করব। ব্যক্তিগত ভাবেও সাহায্য করব। কিন্তু মনে হচ্ছে না এখানে কোনও সরকার রয়েছে। এখানকার বাসিন্দাদের অবস্থা অনাথের মতো।’ রবিঝোরা, ২৭ মাইল, লিকুভির সহ কয়েকটি জায়গায় ধস নামায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং দু’দিন ধরে জলের তলায় থাকা কালিম্পং-দার্জিলিং রুটে যান চলাচলের ক্ষেত্রে চালকদের সতর্ক থাকার কথা বলেছেন কালিম্পংয়ের পুলিশ সুপার শ্রীহরি পাণ্ডে।
এদিকে, শনিবার থেকে উত্তর সিকিমে সেতু নির্মাণ এবং রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু করেছে বিআরও। এদিনই টুংয়ে লোহার একটি সেতু তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। আরও কয়েকটি সেতু তৈরির কাজেও হাত দেওয়া হয়েছে। ডিকচু-লাংকালাং, মংগন-সাংকালাং, সিংথাম-রাংরাং, রাংরাং-টুং সব বেশ কয়েকটি রাস্তা থেকে ধসের মাটিও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এয়ারলিফট সম্ভব না হলে সড়ক পথে যাতে পর্যটক এবং সাধারণ মানুষকে উদ্ধার করা যায়, সেই চেষ্টাই এখন চলছে।
সপ্তর্ষি সরকার, ধূপগুড়ি: দুই দশক আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির (Harvard University) পড়ুয়াদের মধ্যে যোগাযোগের…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত। তিনটি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: আজ বিশ্বে নতুন অর্থনীতির জন্ম দিয়েছে যোগাসন। শুক্রবার সকালে কাশ্মীরের শ্রীনগরে…
চালসা: খাবারের লোভে মুরগি খেতে এসে ধরা পড়ল একটি অজগর। শুক্রবার ভোরে চালসা ডিইসি পাড়ার…
সানি সরকার, শিলিগুড়ি: ১০ নম্বর জাতীয় জাতীয় সড়কের পদে পদে তো বিপদ রয়েইছে, নতুন করে…
রাহুল মজুমদার, শিলিগুড়ি: সিগন্যালিং ব্যবস্থা নিয়ে রেলকর্মীদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ না হওয়ার জন্যই কি দুর্ঘটনার কবলে…
This website uses cookies.