হেমতাবাদ: দশমী ও লক্ষ্মীপুজোর মেলায় হেমতাবাদের বিষ্ণুপুরে মেলার মাঠে হানাহানির কথা মাথায় রেখে কালীপুজোর আয়োজনে মাদক এবং জুয়াখেলাকে নিষিদ্ধ করল হেমতাবাদ পুলিশ। শব্দবাজির ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সম্প্রতি বিভিন্ন কালীপুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন হেমতাবাদ থানার পুলিশ এবং ব্লক প্রশাসনের কর্তারা। ২২ অক্টোবর হেমতাবাদের বিষ্ণুপুরে দশমী ও লক্ষ্মীপুজোর মেলায় জুয়ার আসর বসিয়েছিল একদল দুষ্কৃতী। তার প্রতিবাদ করায় স্থানীয় এক দোকানদার বাবা ও ছেলেকে খুনের চেষ্টা করে জুয়া কারবারিরা। লোহার রড ও ধারালো চাকু দিয়ে খুন করার চেষ্টা করার সময় পাড়াপড়শিরা জুয়ার আসরের মূল পান্ডাকে গণধোলাই দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে। ঘটনায় গ্রেপ্তার হয় এক দুষ্কৃতী, সামাউল মহম্মদ (২১)। বাড়ি হেমতাবাদ থানার চৈনগর গ্রামে। তদন্তে উঠে আসে মেলার আড়ালে মদ-জুয়ার আসরকে কেন্দ্র করেই গণ্ডগোলের সূত্রপাত। যার জেরে বহিরাগতরা এসে চড়াও হয় মেলা উদ্যোক্তাদের উপর। পালটা মারে গুরুতর জখম হয় জুয়ার আসর বসানোর মূল পান্ডা গনি খান। বাড়ি হেমতাবাদ থানার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী চৈনগর গ্রামে। হেমতাবাদ থানার আইসি সুজিত লামা জানান, ‘পুজোকে কেন্দ্র করে মদ-জুয়ার আসর বরদাস্ত করা হবে না। ধরপাকড়ের পাশাপাশি পুজো কমিটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

