হেমতবাদ: বাম আমলে হেমতাবাদ (Hemtabad) ব্লকের ঠাকুরবাড়িতে ১৮ একর জমির ওপর তৈরি হয় রেশম খামার (Silk Farm)। আগে সেখানে ৩৫ থেকে ৪০ জন কর্মী ছিল। এখন মাত্র তিন থেকে চার জন কাজ করেন। খামারের অধিকাংশ গুটি পোকার ঘর বন্ধ, শ্রমিক না থাকায় কাজ হয় না। সাত থেকে আটটি সরকারি আবাস থাকলেও একটি মাত্র আবাসে একজন কর্মী থাকেন। বর্তমানে রেশম গুটি পোকার সঙ্গে সঙ্গে মোগা পোকার চাষ হচ্ছে।কালিম্পং থেকে নিয়ে আসা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা লক্ষ্মী চৌহান জানান, ‘এই খামারে দুইটি ছেলে মাঝেমধ্যে কাজ করে। দৈনিক ৩০২ টাকা করে পায়। এখন কাজ নেই তাই ওরা কুম্ভে গিয়েছে।’ খামারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী সুবল কর্মকার বর্তমানে খামারের অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করেন। তিনি জানান, ‘১৬ বছর অস্থায়ী এবং ২৬ বছর স্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করেছি এই ফার্মে। এখনও দেখভালের কাজ করতে হয়। আগে এখানে ৩৫ থেকে ৪০ জন কর্মী ছিলেন। কর্মীর অভাবে কাজ হচ্ছে না। ঠিকাদার এনামুল ও রবিউলের অধীনে এখন তিন-চার জন কাজ করেন। দুইজনের বয়স ৬০ পার হয়ে গেছে।’
অস্থায়ী শ্রমিক রবিউল হক জানান, ‘দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে এই খামারে কাজ করছি। লাভজনক হলেও কারও কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই। এখানকার রেশমগুটির মান খুব ভালো হওয়ায় চাহিদা প্রচুর।’