শিলিগুড়িঃ শিলিগুড়িকে ট্রানজিট পয়েন্ট করে হেরোইন যাচ্ছে ভুটান, নেপালেও! বুধবার রাতে গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কোচবিহারের দুই তরুণ সহ ৫৩০ গ্রাম হেরোইন করে এসটিএফ। এরপরেই তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে গোটাটার পেছনেই একটি আন্তর্জাতিক চক্র কাজ করছে। ওই চক্র শুধু নেপাল কিংবা ভুটানেই নয়, পাহাড় সহ গোটা উত্তরবঙ্গেই হেরোইন পৌছে দেওয়ার কাজ চলছে।
যদিও শহরে হেরোইন প্যাডলার কারা রয়েছে, সেব্যাপারে কিছুটা হলেও ধোঁয়াশায় রয়েছে তদন্তকারিরা। তদন্তকারি এসটিএফ-এর এক কর্তার কথায়, শহরে হেরোইন ব্যবহারের একাধিক উদাহরণ পাওয়া গিয়েছে। যদিও এই ধরণের হেরোইন সাপ্লাই করছে কারা, সে ব্যাপারে আলাদা করে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তদন্তকারীরা বলছেন, এক কেজি হেরোইনের দাম এক কোটি টাকা। স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মাদকাসক্তরা এইধরণের মাদক কিনবে না। সেক্ষেত্রে আর্থিক দিক দিয়ে সবলদের একটা অংশই এইধরণের হেরোইন নেশার দিকে ঝুঁকবে। সেক্ষেত্রে পাব, বারগুলোর দিকেও বিশেষভাবে নজর দিচ্ছে এসটিএফ কর্তারা।
এসটিএফ-এর এক কর্তার কথায়, মাস কয়েক আগে শহরে কোকেন চক্র পাকড়াওয়ের সময়ও দেখা গিয়েছিল, কোকেনের ক্রেতারা মূলত পাব-বারে আসা বিভিন্ন বয়সীরাও ছিল। কোকেনের মতন হেরোইনও যেহেতু দামী মাদক, সেক্ষেত্রে, এই চক্র পাব-বারগুলোকে টার্গেট করেই শহরে হেরোইনের ব্যবসা চালাতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারিরা।
তদন্তে আরও একটি বিষয় নিয়েও ইতিমধ্যেই পরিষ্কার হয়েছে এসটিএফ। উত্তরবঙ্গ সহ প্রতিবেশি রাষ্ট্রে পাচার হওয়া হেরোইন বিদেশি নয়। মালদাতেই এই হেরোইন বানানো হচ্ছে। যদিও কোথায় বানানো হচ্ছে, সেব্যাপারটা এখনও স্পষ্ট নয় এসটিএফ কর্তাদের কাছে। সেই কারখানাগুলোরও হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করছে এসটিএফ।