উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: চা খেতে ভালোবাসেন অনেকেই। আজকাল ফুলের পাপড়ি দিয়ে তৈরি চা খাওয়ার চল হয়েছে। চা পাতার সঙ্গে ক্যামোমাইল, জুঁই, অপরাজিতা, গোলাপ ফুলের পাপড়ি শুকিয়ে, ব্লেন্ড করে নানা ধরনের পানীয় তৈরি করা হয়। সেই তালিকায় এখন যোগ হয়েছে জবাফুলও (Hibiscus Tea)। এর উপকারিতাগুলি জানুন…
১. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে:
দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন? সকালে জলখাবারের পর নিয়মিত ওষুধও খেতে হয়? চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ যেমন খাচ্ছেন, তার সঙ্গে খেতে শুরু করুন জবাফুলের চা। অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ এই চা খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকে উদ্বেগ।
২. ওজন কমাতে সাহায্য করে:
বিপাকহারের মান ভালো করতে পারে জবাফুলের মধ্যে থাকা যৌগগুলি। বিপাকহার ভালো হলে ওজন তো কমেই, পাশাপাশি নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থাকলে, তাও নিয়ন্ত্রণ করে জবাফুলের পাপড়ি দিয়ে বানানো চা।
৩. তারুণ্য ধরে রাখে:
জবাফুল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদানে সমৃদ্ধ। তাই এই ফুল দিয়ে তৈরি চায়ে নিয়মিত চুমুক দিলে শরীরে ফ্রি র্যাডিক্যালের সমতা বজায় থাকে। ফলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বৃদ্ধি পায় না। কোষের ক্ষয়ও রুখে দেওয়া যায়। সংখ্যায় বয়স বাড়লেও বাইরে থেকে দেখে তা বোঝা যায় না।
৪. মূত্রনালির সংক্রমণ রোধ করে:
বয়স্কদের মধ্যে এই সমস্যা দেখা যায় খুব বেশি। মূত্রনালির সংক্রমণ কমাতে অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ দেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু বারবার নানা কারণে এই জাতীয় ওষুধ খাওয়াও ভালো নয়। তাই মূত্রনালির সংক্রমণ যদি খুব মারাত্মক আকার ধারণ না করে থাকে, সে ক্ষেত্রে জবাফুলের চা খেয়ে দেখতে পারেন।