হিলি: সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রথম পরিচয়। সেই পরিচয় কিছুদিন বাদেই প্রেমে বদলে যায়৷ কোচবিহারের বধূ প্রেমে পড়েছিলেন বাংলাদেশি এক যুবকের। প্রেমের টানেই ঘর সংসার ছেড়ে কোচবিহার থেকে নাবালিকা কন্যাকে নিয়ে ওই গৃহবধূ চলে এসেছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলিতে। এরপর প্রেমিকের কথামতো হিলি সীমান্তের চোরাপথ দিয়ে মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন। বাংলাদেশে যাওয়ার পরেই বধূর জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। সংসার দূরে থাক, ওই বধূকে বাংলাদেশে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, নাবালিকা কন্যা ও স্ত্রীকে ফিরে পেতে ফোন করা হয় স্বামীকেও। ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয় অপহরণকারীদের তরফে। তা পাওয়ার পর আরও টাকা দাবি করা হয়। এভাবেই ভারতীয় হিলির এক যুবকের মাধ্যমে টাকা আদায় করছিল অপহরণকারীরা।
ইতিমধ্যেই হিলি থানায় অভিযোগ দায়ের করে অপহৃত ওই বধূর স্বামী। ফলে ওই যুবককে গতকাল গ্রেপ্তার করে হিলি থানার পুলিশ। এরপরই গতকাল হিলি সীমান্তের চোরাপথেই বধূকে ফিরিয়ে দেয় বাংলাদেশি অপহরণকারীরা। ওই বধু ও নাবালিকা কন্যা দুজনকেই উদ্ধার করেছে পুলিশ। গল্প মনে হলেও বাস্তবের এমন ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে লস্করপুর গ্রামের বাসিন্দা তথা ওই প্রতারণা চক্রের অন্যতম মাথা সাহাদাত হোসেন মণ্ডলকে(৩৮) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার ধৃতকে বালুরঘাট জেলা আদালতে পেশ করে ৭ দিনের হেপাজতের আবেদন জানিয়েছে। সেখানে সব দিক বিবেচনা করে ৪ দিনের পুলিশ হেপাজত দেয় বিচারক।