বিধান ঘোষ, হিলি: উন্মুক্ত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে জমি অধিগ্রহণে নজর দিল ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর। সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় জমি চিহ্নিত করা থেকে জমি কেনার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে চাইছে হিলি (Hili) ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে ১০ একর জমি কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বাকি জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রেও সমস্ত কাজ দ্রুত শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে ২৫২ কিলোমিটার। এর মধ্যে হিলি থানা এলাকায় প্রায় রয়েছে ৩৯ কিলোমিটার। তার মধ্যে আবার উন্মুক্ত প্রায় ২৩ কিলোমিটার। উন্মুক্ত এই সীমান্তে দ্রুত কাঁটাতারের বেড়া দিতে চাইছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফে ইতিমধ্যে বিষয়টি জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারকে।
নবান্ন থেকে জমি অধিগ্রহণের নির্দেশ পেয়ে তৎপর হয়ে উঠেছে হিলি ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর। উল্লেখ্য, ২০২১ সালেই উন্মুক্ত সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এর পরেই বিএসএফ, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর এবং সিপিডব্লিউডি যৌথভাবে জমি চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে। জমির মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করার কাজও শুরু করে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর।
হিলিতে ২৩ কিলোমিটার উন্মুক্ত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জন্য ৩টি পর্যায়ে জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু প্রথম পর্যায়ে জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ঢিমেতালে কাজ চলছিল বলে অভিযোগ উঠছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় সীমান্তেও অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এই প্রেক্ষিতেই দ্রুত কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তৎপর হয়েছে ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর। হিলির সমস্ত উন্মুক্ত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া বসানোর জন্য জমি কিনতে প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভূমি দপ্তর। হিলির সমষ্টি ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক দীপেশকুমার মল্লিক বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া বসানোর জন্য জমি কেনার প্রক্রিয়া চলছে। দ্রুততার সঙ্গে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কাজ করা হচ্ছে।’