উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ গত মঙ্গলবার বয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে হলং বন বাংলো। পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বাংলোর আটটি ঘর। জুন মাসেই তিন মাসের জন্য বন্ধ হয়েছে এই হলং বাংলো। সেই অবস্থায় কেমন করে আগুন লাগল সেটা নিয়ে আলোড়ন পড়ে যায়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন বনদপ্তরের প্রতিমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করে বনদপ্তর। এই কমিটির সদস্যরা তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। সূত্রের খবর, রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে শর্ট সার্কিট থেকেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকাণ্ডের নেপথ্য ‘ইঁদুরের ভূমিকা’ আছে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন তদন্তকারীরা।
এই রিপোর্ট জমা পড়তেই আলোড়ন ছড়িয়েছে প্রশাসনিক মহলে। কারণ ওই রিপোর্টে লেখা আছে, ১৫ জুন থেকে জঙ্গল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাংলোয় কোনও পর্যটক ছিলেন না। পর্যটক শূন্য থাকায় বাংলোটিতে বন্ধ ছিল এসি, গিজারের কানেকশন। তবে হলং বাংলো রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য বারান্দার লাইট জ্বালানো হতো। এখানে ইঁদুরের কাণ্ড নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। সুইচ বোর্ডের পিছনে ফাঁকা অংশ দিয়ে ইঁদুর ঢুকে পড়ত। আর তারাই বিদ্যুতের তার কেটে দেয়। আর সেখান থেকেই শর্ট সার্কিট ঘটে। হলং বাংলোয় ইদুঁরের দৌরাত্ম্য বরাবরই ছিল। তাই ইঁদুরের দৌরাত্ম্যেই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে বলে মনে করছেন অফিসাররা। ওই কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলোয় কাঠের রং এবং পালিসের জন্যই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে সূত্রের খবর।
অন্যদিকে আগুন লাগার সময়ে হলং বাংলোর কর্মীরা কাছাকাছিই ছিলেন। তাঁরা পোড়া গন্ধ পেয়ে ছুটে আসেন আগুনের অনুসন্ধানে। সেখানে এসি মেশিন ফেটে যাওয়ার পর আগুন গোটা হলং বন বাংলোর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। মাত্র আধ ঘণ্টার মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে নেয় গোটা বনবাংলোকে।