উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ঋতুস্রাব চলাকালীন অতিরিক্ত রক্তপাত, পেটে যন্ত্রণা, পেটফাঁপা, মাথা ঘোরার মতো সমস্যায় ভোগেন অনেক মহিলাই। স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে এতটাই কষ্ট হয় যে, ওষুধ ছাড়া এক পা ফেলার উপায় থাকে না (Period Cramp)। কিন্তু না জেনে মুঠোমুঠো ওষুধ খেয়ে ফেললে ক্ষতি হতে পারে। তবে সমস্যা খুব গুরুতর না হলে এই ধরনের সমস্যা বশে রাখতে কিন্তু ঘরোয়া টোটকার উপর ভরসা রাখা যেতে পারে।
মৌরি:
ঋতুস্রাবের সময়ে অনেকেরই পেটব্যথা, পেটফাঁপার সমস্যা হয়। সামান্য পরিমাণে মৌরি চিবিয়ে খেতে পারলে এই সমস্যা বশে থাকবে। ঋতুস্রাবও স্বাভাবিক রাখে এটি।
ক্যামোমাইল চা:
জরায়ুর পেশিতে ক্রমাগত সংকোচন-প্রসারণের ফলে ঋতুস্রাবের সময় পেটে যন্ত্রণা হয়। এই সময় ক্যামোমাইল টি উপকারে আসতে পারে। এই চায়ের ‘অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি’ এবং ‘অ্যান্টি স্প্যাসমোডিয়্যাক’ বৈশিষ্ট্যের জন্যই ঋতুস্রাবজনিত কষ্ট অনেকটাই কমে। এই চা খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে ‘গ্লাইসিন’ নামক একটি উৎসেচক তৈরি হয়, যা স্নায়ুকে নিস্তেজ করে দেয়। ফলে যন্ত্রণার অনুভূতিও কম হয়।
দারচিনি:
ঋতুস্রাব চলাকালীন অনেকেরই মাত্রাতিরিক্ত রক্তপাত হয়। তবে ঈষদুষ্ণ জলে দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। নিয়মিত ঋতুস্রাব না হলেও এই টোটকা কাজে লাগতে পারে।
ফ্ল্যাক্সসিড:
ফ্ল্যাক্সসিডে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। বিভিন্ন হরমোনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এই উপাদান। যা ঋতুস্রাবজনিত যাবতীয় সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
ডার্ক চকোলেট:
ঋতুস্রাব চলাকালীন এমনিতে চকোলেট খেতে বারণ করেন চিকিৎসকেরা। তবে মিল্ক চকোলেটের পরিবর্তে ডার্ক চকোলেট খেলে কিন্তু ঋতুস্রাবকালীন যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। ডার্ক চকোলেটে থাকা ম্যাগনেশিয়াম যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে।
