শুভদীপ শর্মা, লাটাগুড়ি: পুনর্বাসন নিয়ে এবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হতে চলেছেন গুমটি ব্যবসায়ীরা। ময়নাগুড়ি থেকে চালসাগামী ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক চওড়া করার জন্য ডিপিআর তৈরির কাজ শুরু করেছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। আর তাতেই দেখা যাচ্ছে ময়নাগুড়ি শহর ও আশপাশ এলাকার প্রায় ৪০০ গুমটি ব্যবসায়ীর উচ্ছেদ হওয়ার আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে উচ্ছেদের আশঙ্কায় থাকা ব্যবসায়ীরাই দ্বারস্থ হতে চলেছেন জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসনের।
ময়নাগুড়ি (Mainaguri) থেকে চালসাগামী ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক। এই সড়কের ময়নাগুড়ি থেকে চালসাগামী সড়ক বর্তমানে সাত মিটার রয়েছে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই সড়কটিকে ১০ মিটার করা হবে। সম্প্রতি এর জন্য ডিপিআর (Detailed Project Report) তৈরির কাজ শুরু করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আর এতেই দেখা গিয়েছে ময়নাগুড়ি পুরসভা ও আশপাশ এলাকার প্রায় ৪০০ গুমটি ব্যবসায়ীকে উচ্ছেদ হতে হবে। ফলে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন গুমটি ব্যবসায়ীরা। পুনর্বাসনের দাবিতে তাঁরা জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসনের শরণাপন্ন হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ময়নাগুড়ি পুরাতন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বাপ্পা সাহার কথায়, একেকজন গুমটি ব্যবসায়ী প্রায় ৩০-৪০ বছর ধরে একই জায়গার ওপর ব্যবসা করে আসছেন। হঠাৎ করে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হলে তাঁদের সংসার কীভাবে চলবে? বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের পুনর্বাসনের দাবি জানানো হবে।
পুনর্বাসনের দাবি তুললেন ময়নাগুড়ি গুমটি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বিমলেন্দু চৌধুরীও। জানালেন, গুমটি ব্যবসায়ীরা চান না উন্নয়নমূলক কাজে কোনওরকম বাধা দিতে। উন্নয়নমূলক কাজের জন্য জায়গা ছাড়তে তাঁরা রাজি। কিন্তু তাঁদের পুনর্বাসনের বিষয়টিও যাতে দেখা হয় সেই দাবি রয়েছে তাঁদের। বিমলেন্দুবাবু আরও জানান, তাঁরা বিষয়টি জেলা পরিষদের সভাধিপতি থেকে শুরু করে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ কর্মাধ্যক্ষর সঙ্গেও কথা বলেছেন।
এ ব্যাপারে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য পরিবেশ কর্মাধ্যক্ষ মহুয়া গোেপর বক্তব্য, ‘কোনও ব্যবসায়ীকে উচ্ছেদ হতে হবে বলে খবর আমাদের কাছে এখনও পর্যন্ত নেই। তবে এই ধরনের কোনও সমস্যা হলে ব্যবসায়ীদের জন্য বিকল্প চিন্তাভাবনা অবশ্যই করা হবে।’ একই আশ্বাস দিয়েছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি কৃষ্ণা রায় বর্মনও। তিনি জানান, জেলা পরিষদের অনেক জায়গা ফাঁকা পড়ে রয়েছে। কোনও ব্যবসায়ীকে উচ্ছেদ হতে হলে সেগুলো জায়গা কীভাবে কাজে লাগানো যায় সেই চেষ্টা করা হবে।