গ্রাফিক্স: শুভঙ্কর চৌধুরী
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: সালটা ২০১৬-২০১৭। কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রক (Indian Railways) একটি শপথ নিয়েছিল। শপথের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘মিশন জিরো অ্যাক্সিডেন্ট’। শপথের পর কেটে গেছে ৭ বছর। এই ৭ বছরে রেল দুর্ঘটনার গ্রাফটা যদি দেখা যায়, সেখানে স্পষ্ট মেরে কেটে প্রথম ২ বছর এই ‘মিশন’ সঠিক গন্তব্যে চললেও ২০২২ সালের পর আচমকাই লাইনচ্যুত হয়ে যায়। আজ আবারও একবার শিয়ালদাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস যেন ভারতীয় রেলের নিরাপত্তার কঙ্কালসার চেহারা সামনে আনল।
সোমবার সকালে ফাঁসিদেওয়ার কাছে নিজবাড়ি এলাকায় শিয়ালদাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পেছনে ধাক্কা দেয় একটি মালগাড়ি। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের (Kanchenjungha Express) দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এখনও পর্যন্ত অসমর্থিত সূত্রে মৃতের সংখ্যা ১৫, আহত আরও অনেকে। এবার এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ২০২২ সাল থেকে রাজ্যে কতগুলি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে।
২০২২ সালের ১৩ জানুয়ারি। ময়নাগুড়ির কাছে লাইনচ্যুত হয় বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসের ১২টি কামরা। একটি কামরার উপর অপর কামরা উঠে পড়ে। ঘটনার পরই উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়। জবানবন্দি দেন ট্রেনের চালক। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন ৯ জন। আহত হয়েছিলেন ৪০ জন। ২০২৩ সালের ২৫ জুন বাঁকুড়ার ওন্দাগ্রাম স্টেশনের কাছে লুপ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালগাড়িকে পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা মারে অন্য একটি মালগাড়ি। ঘটনায় চলন্ত মালগাড়ির ইঞ্জিন-সহ বেশ কয়েকটি বগি বেলাইন হয়ে ছিটকে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় দু’টি মালগাড়ির মোট ১৩টি বগি। পরিসংখ্যান বলছে, শুধু ২০২৩ সালেই ছোট বড় মিলিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৭ টি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দুর্ঘটনা এড়াতে সিগন্যালিং সিস্টেম এবং দুর্ঘটনা প্রতিহত করতে সক্ষম এলএইচবি রেল কোচ ও আধুনিক ইঞ্জিন ব্যবহার করা হবে, এই মর্মে রাষ্ট্রীয় রেল সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে ১ লক্ষ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছিল। কিন্তু চার বছর পর ২০২১ সালের পর থেকে ২০২৪ পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতি তো দূর, উলটে অবনতি হয়েছে। শুধু মাত্র ২০২৩ সালের দুর্ঘটনার যে পরিসংখ্যান বিগত ২০ বছরের রেকর্ডেও ছাড়িয়ে গেছে। তবে প্রশ্ন উঠছে কোথায় খামতি, কোথায় গাফিলতির ফলে বারবার নিরীহ যাত্রীদের প্রাণ হারাতে হচ্ছে? বেশ কয়েক বছর আগে রেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, পুরনো প্রযুক্তির কামরা তৈরি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে, কিন্তু আজও তা সম্ভব হয়নি। আজকে যদি কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে এলএইচবি বগি থাকত, তবে এই দুর্ঘটনা ঘটত না। আসলে ভারতীয় রেল বুলেট এবং বন্দে ভারতের মতো প্রিমিয়াম ট্রেনের স্বপ্নে মজে রয়েছে, তাই হয়তো কাঞ্চনজঙ্ঘার মতো ট্রেনের সাধারণ যাত্রীদের প্রাথমিক সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। তবে কি লাভ দেখে পরিষেবা দিতে শুরু করেছে ট্রেন? এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে আম জনতার মননে।
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দুটি সেমিফাইনাল। প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে দক্ষিণ…
চ্যাংরাবান্ধা: একটি শাল কাঠবোঝাই পিকআপ ভ্যান আটক করল লাটাগুড়ির বন দপ্তর(Forest Department)। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ইতিহাসের শিক্ষক, তৃণমূলের বিধায়ক এই ‘দুই পরিচয়ে’র বাইরে যে পরিচয় রাতারাতি…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ (JK encounter)। নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিকেশ ২…
জলপাইগুড়ি: সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘরের দরজা খুলেই চমকে ওঠেন জলপাইগুড়ির ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব…
অনীক চৌধুরী, জলপাইগুড়ি: সকালের টিফিন বা বিকেলে চায়ের সঙ্গে ফাস্ট ফুড এখন সবার পছন্দের। পিৎজা,…
This website uses cookies.