উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ৮ মাস আগেই দেশ জুড়ে অষ্টাদশ লোকসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক্ষমতায় ফিরলেও ভোটে ধাক্কা খেতে হয়েছে বিজেপিকে (Bjp)। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে কেন্দ্রে শরিক নির্ভর ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে হয়েছে তাদের। হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে বিজেপির চারশো পার করার আত্মবিশ্বাস। কিন্তু সে তো কিছু দিন আগের কথা। তারপর কিছুটা সময় গিয়েছে। দেশে একের পর এক হয়ে চলা বিধানসভা নির্বাচনে একটু একটু করে নিজেদের শক্তি আবারও সংহত করেছে গেরুয়া শিবির। লোকসভা নির্বাচনের পর প্রথম গুরুত্বপূ্র্ণ জয় আসে হরিয়ানায়। সামান্য আসনের ব্যবধানে হলেও প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া সামলে বিজেপির জয় নিঃসন্দেহে মোদি-শায়ের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে অনেকটাই। এরপরই বিজেপিকে অক্সিজেন দেয় মহারাষ্ট্র। বিরোধী মহারাষ্ট্র বিকাশ আঘারিকে দুরমুশ করে জয় ছিনিয়ে নেয় এনডিএ শিবির। এরপর দিল্লিতেও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিকে হারাতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি বিজেপিকে। মাঝে ঝাড়খন্ডে অবশ্য ক্ষমতায় আসতে পারেনি বিজেপি। সেখানে হেমন্ত সোরেনে ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার কাছে থেমে গিয়েছে বিজেপির বিজয়রথ। জম্মু কাশ্মীরেও ক্ষমতায় এসেছে ইন্ডিয়া জোট। তবে এই দুটি তুলনায় ছোট রাজ্যকে ব্যতিক্রম ধরলে লোকসভা পরবর্তী সময়ে বিজেপির পারফরম্যান্স কিন্তু যথেষ্টই ভাল। তুলনায় খানিকটা ছত্রভঙ্গ বিরোধী শিবির।
এই পরিস্থিতিতে বিজেপির হাসি আরও চওড়া করল মুড অফ দ্য নেশন সমীক্ষা। ইন্ডিয়া টুডে- সি ভোটারের করা সমীক্ষা বলছে, এই মুহূর্তে দেশে লোকসভা নির্বাচন হলে ম্যাজিক ফিগার পার করে অনেকটা এগিয়ে যাবে এনডিএ। তারা পেতে পারে ৩৪৩ আসন। বিজেপি একাই ২৮১টি আসন পেয়ে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেতে পারে। আর যে ইন্ডিয়া জোট বিগত লোকসভায় ২৩২ আসন পেয়ে কার্যত এনডিএর ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছিল সেই ইন্ডিয়া জোট নেমে আসতে পারে ১৮৮ আসনে। যে কংগ্রেস ২০২৪ সালের নির্বাচনে ৯৯ আসন পেয়েছিল, তাদের আসন সংখ্যা কমে দাঁড়াতে পারে ৭৮। বিজেপির ক্ষেত্রে ভোট শেয়ার বাড়তে পারে ৩ শতাংশ, অন্য দিকে ইন্ডিয়া জোটের ভোট শেয়ার মাত্র ১ শতাংশ বাড়তে পারে বলে সমীক্ষায় ইঙ্গিত। ২ জানুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেশের সবকটি লোকসভা আসনে ১, ২৫, ১২৩ জনের উপর সমীক্ষা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে সমীক্ষক সংস্থা।
মনে করা হচ্ছে, বিগত ৯ মাসেই বিজেপি নিজেদের বেহাল অবস্থা অনেকটাই মেরামত করে নিতে পেরেছে। সামনে নভেম্বরে বিহার বিধানসভার ভোট রয়েছে। ২০২৬ সালে ভোট হতে চলেছে আসাম, কেরালা, পশ্চিমবঙ্গ ও তামিলনাড়ু ও পণ্ডিচেরিতে। স্বাভাবিক ভাবেই গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনগুলোর আগে গেরুয়া শিবির এখন আগের থেকে অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী।