উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: মানুষ বুদ্ধি হবার পর থেকেই নিজেকে নিয়ে সচেতন। কি খাবারের প্রশ্নে, কি সাজগোজের প্রশ্নে। কিন্তু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কথায় কিন্তু আমরা সকলে সমান সচেতন নই। বাড়িঘর, রাস্তাঘাট পরিষ্কার হলেই শুধু চলবে তা তো নয়; আমাদের ব্যক্তিগত ভাবেও সাফ-সুতরো থাকতে হবে, আবার অনেক সময় এই পরিষ্কারের বাতিক যদি কারুর হয় তাবে তা স্বাস্থ্যের জন্যে হানিকর। তাহলে বাতিকগ্রস্থ না হয়ে শুধু স্বাস্থ্যের জন্যে আমাদের কি কি করা উচিৎ?
১) সবার আগে বাসনপত্র পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। এবং নিশ্চিত হওয়া উচিৎ আরশোলা বা টিকটিকি জাতীয় প্রাণী যেন এর নাগাল না পায়। ব্যবহারের সময় বাসন অবশ্যই ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে।
২) বাড়ি অথবা ফ্ল্যাটে যদি ব্যলকনিতে গাছ লাগান তাহলে অবশ্যই তুলসী গাছ রাখবেন, হিন্দু পবিত্রতার কথা বাদ দিলেও এর একটা ঔষধি গুণ আছে এবং মশা থেকে পোকামাকড় কোনটাই আমাদের ঘরে ঢোকে না, সঙ্গে এটি আমাদের অক্সিজেনের জোগান দেয়।
৩) জামাকাপড় বেশি বেশি ধোয়ার বাতিক আছে অনেকের এতে কাপড় ও রঙ দুইই নষ্ট হয় খুব তাড়াতাড়ি, এর থেকে ভালো জামাকাপড় যদি খোলা হাওয়ায় মেলে দেন বা বেলার দিকের রোদ খাইয়ে তুলে দেন তাহলে জীবাণু এবং রোগ দুইই দূরে থাকবে। আলমারিতে তুলে রাখতেও কোনও সমস্যা নেই।
৪) মোজায় গন্ধ খুব সমস্যায় ফেলে আমাদের, বারবার বদলে নিলেও সমস্যা পিছু ছাড়েনা। এক্ষেত্রে প্রথমেই দেখতে হবে জুতোর কোন সমস্যা আছে কিনা? প্রায় ৫৩% শতাংশ মানুষের ক্ষেত্রে দেখা গেছে এটাই কারণ। তাই কর্পূর গুঁড়ো করে জুতোর মধ্যে সারারাত রেখে দিলে সমস্যা কমবেই কমবে। আর যদি পায়ের সমস্যা হয় তাহলে প্রতিদিন উষ্ণ গরম জলে কর্পূর ফেলে কমপক্ষে ১৫ মিনিট পা ডুবিয়ে বসতে হবে এবং ব্রাশ ও পিউমিস স্টোন দিয়ে পা ঘষতে হবে। চামড়া নরম করার জন্যে এতে পুরনো চামড়া যেমন দূর হবে, পা ফাটাও কমবে। সঙ্গে সঙ্গে নোংরা জমে যদি দুর্গন্ধ তৈরি হয় তাহলে সেটাও থাকবেনা।
৫) ঘামের গন্ধ আমাদের অন্যতম সমস্যা। আমাদের এটা দূর করতে গেলে প্রতিদিন সাবান মাখা ছাড়াও বগল পরিষ্কার রাখতে হবে, প্রয়োজনে ওয়াক্সিং করাতে হবে পুরুষ-নারী উভয়কেই। চন্দন বাটা, মুলতানি মাটি এবং এক চিমটি কর্পূর ভালভাবে মিশিয়ে বগলে প্রলেপের মতো মেখে রেখে শুকিয়ে নিয়ে তবে স্নান করলে উপকার পাবেন।
৬) শীতকালে সোফা বা কার্পেটে ধুলো বেশি জমে, ভ্যাকুয়াম ক্লিনার না থাকলে একটি বড় প্লাস্টিকের ব্রাশ নিন আর একসমান করে টেনে টেনে নিয়ে আসুন ধুলো কমবে।
৭) ঘর মুছুন প্রতিদিন জীবাণুনাশক তরল দিয়ে, এছাড়াও যে জায়গা গুলোতে মোছা যায়না সেই জায়গা গুলো ভালো করে ঝাঁট দিতে হবে।
৮ ) বাচ্চাদের ও বয়স্কদের নখ কাটুন নিয়মিত, বড়রাও নখ পরিষ্কার রাখুন।
৯) স্নানের আগে তেল মাখুন আর পরে বডিলোশন লাগান ত্বক ভালো রাখতে।
১০) নিয়মিত শ্যাম্পু আর রাতে শোবার আগে অবশ্যই ত্বক পরিষ্কার করে ক্রিম মাখুন।