উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ৩১ মে, কৃষ্ণকুমার কুন্নথ ওরফে কেকে’র মৃত্যবার্ষিকী। ঠিক এক বছর আগে এইদিনে প্রয়াত হয়েছিলেন সুরসম্রাট কেকে। তিলোত্তমায় হয়েছিল তাঁর শেষ অনুষ্ঠান। এরপর আর বাড়ি ফেরা হয়নি গায়কের। অসুস্থ হয়ে কলকাতাতেই জীবনাবসান ঘটেছিল। সেইদিন আজও ভুলতে পারেনি তাঁর অগনিত ভক্ত। সবার মনেই দিনটা গেঁথে রয়েছে। আজ দেখতে দেখতে একবছর হল। কিন্তু এখনও সংগীত প্রেমীদের মনে তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি রয়েছে। এখনও সোশ্যাল মিডিয়া ঘাটলে তাঁর গান শোনা যায়। প্রত্যেকেরই ভালোবাসার জায়গায় রয়েছেন তিনি।
কেকে’র গান মানে সবার কাছেই একটা আবেগের বিষয়। সেটা কিশোর হোক বা মধ্যবয়স্ক, আবার প্রেম-বিচ্ছেদ হোক বা ভালো-মন্দ সবেতেই ওষুধের মতো কাজ করে তাঁর গান। তবে ২০২২ সালের ৩১ মে ছন্দপতন হল। কলকাতার নজরুল মঞ্চে গানের অনুষ্ঠান শেষ করে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তারপর হোটেলে ফিরে অজ্ঞান হয়ে যান। তারপর তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আকস্মিক এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ে গোটা দেশ।
খ্যাতনামা সংগীতশিল্পী ১৯৬৮ সালের ২৩ অগাস্ট এক মালয়ালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কোনদিন প্রথাগতভাবে সংগীতের তালিম নেননি। বলিউডে প্রথম গেয়েছিলেন ১৯৯৬ সালে। ‘মাচিস’ ছবির ‘ছোড় আয়ে হাম ওহ গলিয়াঁ’-তে একটা ছোট্ট অংশ গেয়েছিলেন তিনি। তারপরে ১৯৯৯-এ ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির সেই বিখ্যাত গান, সলমন খানের লিপে ‘তড়প তড়প কে’ দিয়ে শুরু হয়েছিল কেকে’র বলিউড কেরিয়ার। এরপর আর তাঁকে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক হিট গান উপহার দিয়েছেন তিনি। তাঁর গানের মধ্যে অদ্ভুত এক মাদকতা রয়েছে। যা ছোট থেকে বড় সবাইকে মাতিয়ে রাখে। আরও হয়তো অনেক গানই তাঁর উপহার দেওয়ার বাকি ছিল। কিন্তু কেকের অকালপ্রয়াণে চারিদিক যেন থমথমে হয়ে যায়। বলিউডের সংগীত জগতে এক শূণ্যতার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি চিরঘুমের দেশে চলে গেলেও সারাজীবন মানুষের মনে থাকবেন।