শিলিগুড়ি: শনিবার শিলিগুড়ির (Siliguri) পবিত্রনগরের বাসিন্দা দীপা শর্মা নামে এক বধূর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বেঁধেছিল আগেই। ঘটনার দিন মৃতার স্বামী ধীরাজ রাই দাবি করেছিলেন, স্ত্রীকে তিনি ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়েছিলেন। কিন্তু রবিবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার পর দীপার দিদি দুর্গা শর্মা প্রধাননগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার ধীরাজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতকে মঙ্গলবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। এদিন ধৃতকে জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
পরিবার সূত্রে খবর, বছর পাঁচেক আগে দীপার সঙ্গে ধীরাজের বিয়ে হয়েছিল। দম্পতির চার বছরের এক সন্তান রয়েছে। কিন্তু রাতে ধীরাজের মদ্যপানের অভ্যাস রয়েছে। রোজ এই নিয়ে বাড়িতে প্রচণ্ড অশান্তি হত বলে অভিযোগ। দীপার দিদি দুর্গা বলেন, ‘রাতে মারধরের পর সকালে উঠে ধীরাজ বোনকে সরি বলত। বোন মনে মনে ভাবত, এবার হয়তো তাঁর স্বামী বদলে গিয়েছে।’ দীপার স্বজনদের অভিযোগ, শনিবার যাবতীয় ঘটনা ঘটলেও তাঁরা জানতে পারেন রবিবার সকাল সাতটায়। এলাকার বাসিন্দারাই তাঁদের ফোন করে পুরো ঘটনা জানিয়েছিলেন। এরপর শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে এসে তাঁরা দীপার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান।
অভিযোগ, শনিবার রাতেও ধীরাজ মদ্যপ অবস্থায় ছিল। সেদিন পড়শিদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ধীরাজের বাড়ি পৌঁছায় প্রধাননগর থানার পুলিশ। সেখানে গিয়ে পুলিশ দেখে, দীপার দেহ বিছানায় পড়ে। ধীরাজের দাবি, দীপা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। সে নাকি দেখামাত্রই নামিয়ে ফেলে স্ত্রীকে। কিন্তু দীপার পরিবারের অভিযোগ, স্ত্রীকে মেরে গোটা ঘটনা আত্মহত্যার মোড়কে সাজানোর চেষ্টা করেছে ধীরাজ (Murder case)। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।