কিশনগঞ্জঃ স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় প্রাণ গেল নববধূর। ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের কাটিহারের আজমনগর থানা এলাকার গর্ভেইনা গ্রামে। মঙ্গলবার সকালে ঘর থেকে বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তাঁকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে আজমনগর থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ছয়মাস আগে কাটিহারের আজমনগর থানা এলাকার গর্ভেইনা গ্রামের বাসিন্দা অমিত সিং ওরফে মনুর সঙ্গে ধুমধাম করে বিয়ে হয় শাহনগর গ্রামের বাসিন্দা মমতা সিং-এর। আজ সকালে ঝুলন্ত অবস্থায় মমতার দেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তারাই খবর দেন আজমনগর থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় কাটিহার সদর হাসপাতালে।
এদিকে মমতার অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন মৃতার পরিবারের লোকেরা। মৃতার ভাই ভগৎ সিং এর অভিযোগ, মমতার স্বামী অমিতের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে তার বৌদির। বিয়ের পরপরই বিষয়টা আঁচ করতে পেরে স্বামীর কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করে মমতা। এরপর থেকেই মমতার ওপর শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। তাঁকে পেটাতেন শ্বশুর, শাশুড়ি, জা ও স্বামী অমিত। অমিতের সঙ্গে তার বৌদির পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে গ্রামে একাধিকবার সালিশিসভা বসে। তাতেও কোনও কাজ হয়নি। মমতার দাদা ভগৎ সিং এর আরও অভিযোগ, তার বোনের ওপর নির্যাতন বন্ধ করার জন্য পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। না দিলে এমনই চলবে বলেও হুমকি দেন তাঁরা। দেওর বৌদির অবৈধ প্রেমের কারণেই শ্বশুরবাড়ির লোকেদের হাতে খুন হতে হল মমতাকে। তিনি অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
কাটিহারের পুলিশ সুপার অশোক সিং জানান, আজমনগর থানা এলাকায় মমতা সিং নামে এক নববধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতার পরিবারের লোকেরা শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত বলা সম্ভব নয় হত্যা না আত্মহত্যা। তবে ঘটনার পর থেকেই পলাতক মৃতার শ্বশুর, শাশুড়ি, স্বামী ও জা। এদের খোঁজেও তল্লাশি শুরু করেছে আজমনগর থানার পুলিশ।