হলদিবাড়ি: ভূগর্ভস্থ জলস্তর নামতে থাকায় উদ্বেগ বেড়েছে গোটা বিশ্বে। পানীয় জলের অপচয় বন্ধ করতে তৎপর হয়েছে সব দেশ। এর গুরুত্ব বোঝাতে গত শনিবার পালিত হয়েছে বিশ্ব জল দিবস। অথচ মাসখানেক ধরে পাইপ ফেটে জলে টইটুম্বুর হুজুর সাহেবের মেলার মাঠের একাংশ। এলাকাবাসীর দাবি, মেলার দোকান তৈরির সময় খুঁটি পুঁততে গিয়ে মাঠের দক্ষিণদিকের রাস্তার পাশে ভূগর্ভস্থ পানীয় জলের পাইপ ফেটে যায়। খবর দেওয়া সত্ত্বেও, পুরসভা থেকে কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি এখনও।
হলদিবাড়ি পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত ধারানগর এলাকায় রয়েছে জলাধার। সেখান থেকে পুরসভার পাশাপাশি সংলগ্ন গ্রামীণ এলাকাতেও পানীয় জল সরবরাহ করা হয়। শহরের উপকণ্ঠে থাকা দক্ষিণ বড় হলদিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন দেবত্তোর বক্সিগঞ্জ এলাকাতেও নলবাহিত পানীয় জলের পরিষেবা দেওয়া হয় এখান থেকে। হুজুরের মাঠ সংলগ্ন পাঠানপাড়ার দিকে রাস্তার ধারে পানীয় জলের পাইপ ফেটে যাওয়ায় বর্তমানে ওই এলাকা পানীয় জলের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত।
স্থানীয় বাবলু মহম্মদের দাবি, ‘জলের পাইপ ফেটে যাওয়ায় বিস্তীর্ণ এলাকা পানীয় জলের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পাশাপাশি পানীয় জল দূষিত হওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। বিপুল পরিমাণ পানীয় জলের অপচয় হওয়ায় ক্ষতি হচ্ছে রাজস্বের। এই অবস্থা মাসখানেক ধরে চললেও পুর কর্তৃপক্ষ সেই ‘দেখছি দেখব’ করেই কাটাচ্ছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা জামসেদ আলি বলেন, ‘এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। কুয়ো ও নলকূপের আয়রনমিশ্রিত জল খেতে হচ্ছে। এই অবস্থায় পরিস্রুত পানীয় জল দেদার অপচয় হচ্ছে। দিনে তিনবার জল সরবরাহের সময় তীব্র গতিতে পানীয় জল বেরিয়ে আসছে। সেই জলে ভাসছে হুজুর সাহেবের মেলার মাঠ চত্বরের একাংশ।’ পুরসভার চেয়ারম্যান শংকর দাস বলেন, ‘বিষয়টি জানা ছিল না। ক্ষতিগ্রস্ত পাইপটি সারানোর জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হবে।’