উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ চাকরি পেয়েই আমি হতভাগ্য, মেখলিগঞ্জে চাকরি করতে গিয়েই সর্বস্বান্ত হয়েছি। লড়াই থামবে না, প্রয়োজনে আমি সুপ্রিম কোর্টে যাব। কান্নায় ভেঙে পড়ে এমন মন্তব্য করলেন প্রাক্তন শিক্ষিকা ববিতা সরকারের।
সম্প্রতি ববিতা সরকারের চাকরির সুপারিশপত্র বাতিল করেছে কমিশন। খাতায় কলমে ববিতা আর শিক্ষক রইলেন না। কমিশনের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে ববিতা বলেন, “আমার দু’নম্বর বেড়েছিল। এরপর কমে গেল। তখন কমিশন দেখেনি? নাকি আমি মামলা করেছিলাম বলেই দেখেও সবাই চুপ ছিল?” তাঁর দাবি, “আমি নিজে নম্বর ৪৪০ লিখতেই কম্পিউটারে অটোমেটিকভাবে ষাট শতাংশ নিয়ে নেয়। আমি অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনও ভুল করিনি। আর ইচ্ছাকৃতভাবে ভুলের প্রশ্নই নেই।”
এদিন ববিতা সরকার আরও বলেন, “সমস্ত কাগজ খতিয়ে দেখিয়েই আমি চাকরি পাই। যে টাকা আমি অঙ্কিতা অধিকারীর কাছ থেকে পেয়েছিলাম তার থেকে যে তিন লক্ষ টাকা দিয়ে গাড়ি কিনেছিলাম তা সময়ে স্কুলে পৌঁছনোর জন্যেই। কারণ শিলিগুড়ি থেকে মেখলিগঞ্জ যাওয়ার সরাসরি বাস নেই। সেই গাড়িও আমি বিক্রি করে দিয়েছি। টাকাও ফেরত দেব। চাকরি পেতে এবং মেখলিগঞ্জে চাকরি করতে গিয়ে কার্যত সর্বস্বান্ত আমি। চাকরি পেয়েই আমি হতভাগ্য।”
যদিও, এখনই হাল ছাড়তে নারাজ প্রাক্তন এই শিক্ষিকা। জানিয়ে দিলেন, লড়াই চালিয়ে যাবেন। তিনি বলেন, “এই চাকরির মামলা করতে গিয়ে আমার দুটো বাচ্চা, পরিবার নানাভাবে মাতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত। ওদের পড়াশোনা প্রায় বন্ধ। মামলা লড়ার খরচটুকু আর জোগাতে পারছি না। কিন্তু লড়াই আমি চালাবোই। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়েছিলাম। আমি ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছি। সুপ্রিম কোর্টেও যাব। লড়াই ছাড়ব না।” ববিতার বক্তব্য, “আমি চাই আমাদের ওএমআর প্রকাশিত হোক। ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছি। দ্রুত শুনানি হবে।”