দুবাই: হাইব্রিড মডেল মানা হবে না।
প্রয়োজনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বয়কটের রাস্তাতেও হাঁটবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। ভারত এবং আইসিসি-র ওপর চাপ তৈরির কৌশল। যদিও বাস্তব হল বয়কটের রাস্তায় হাঁটলে সমস্যা আরও গভীর হবে পাকিস্তানেরই।
আইসিসি-র নির্বাসনের মুখে পড়তে হবে। থাকছে বিশাল আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকি। অঙ্কটা ৬৫ মিলিয়ন ডলার। এছাড়াও কাটছাঁট আইসিসি-র দেওয়া ফান্ডেও।
হাইব্রিড মডেলে ভারতের ম্যাচগুলি নিরপেক্ষ কোনও দেশে হলেও টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য প্রাপ্য পুরো টাকা পাকিস্তান পাবে বলে আশ্বাস দিয়েছে আইসিসি। বয়কটের মতো চরম রাস্তায় হাঁটলে যা হারাবে পিসিবি।
আর্থিক সমস্যা জর্জরিত পাক ক্রিকেটের জন্য ৬৫ মিলিয়ন ডলার বিশাল অঙ্ক। নির্বাসিত হলে ধাক্কা খাবে ক্রিকেট উন্নয়নের প্রক্রিয়া। নরমে-গরমে আইসিসি-র তরফেও পাকিস্তান বোর্ডকে যা সমঝে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
বয়কটের হুমকির পাশাপাশি আইসিসি-র থেকে পরিষ্কার ব্যাখ্যা এবং ভারত সরকার যে অনুমতি দেয়নি, তার লিখিত নথি দাবি করেছে পিসিবি। চেষ্টা আইসিসি-র কাঁধে বন্দুক রাখারও। পাকিস্তানের যুক্তি, যেহেতু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আইসিসি-র টুর্নামেন্ট। তাই ভারতকে রাজি করানোর দায়িত্ব তাদেরই। নিয়ম বলছে কোনও দেশের সরকার ‘ছাড়পত্র’ না দিলে আইসিসি-র করণীয় কিছু নেই। ভারতের ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে। সরকারি অনুমোদন মেলেনি পাকিস্তানে খেলার।
যদিও হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাব মেনে নেওয়ার মেজাজে নেই পাকিস্তান। পাক সরকারও প্রয়োজনে টুর্নামেন্ট বয়কটের চরম রাস্তা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বোর্ডকে। ৬৫ মিলিয়ন ডলার হারানো এবং নির্বাসনের আশঙ্কা, জোড়া চাপ নিতে পারবে তো পাকিস্তান? কারণ ভারত দল পাঠাবে না, তা নিশ্চিত। সেক্ষেত্রে বল এখন পাকিস্তানের কোর্টে।
এশিয়া কাপের সময়ও একইভাবে চাপ তৈরি করেও লাভের লাভ হয়নি পাকিস্তানের। শেষপর্যন্ত ভারতের দাবিই মেনে হাইব্রিড মডেলে রাজি হয়। এবার? তথ্যাভিজ্ঞ মহলের দাবি, হুমকি দিলেও শেষপর্যন্ত ‘শ্যাম ও কুল’ দুই বাঁচানোর রাস্তা বেছে নিতে বাধ্য হবে পাকিস্তান বোর্ড।
এদিকে, ওয়াঘার ওপার থেকে যেমন হুমকি শোনা যাচ্ছে, তেমনই আশ্বাসও রয়েছে। পাকিস্তানের সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাটের নতুন অধিনায়ক মহম্মদ রিজওয়ান যেমন বলেছেন, লোকেশ রাহুল, সূর্যকুমার যাদবরা পাকিস্তানে খেলতে এলে দারুণভাবে স্বাগত জানানো হবে। নিরাপত্তা কোনও সমস্যা হবে না। আশাবাদী সমস্যা মিটে যাবে। ভারত রাজি হবে পাকিস্তানে খেলতে।
প্রাক্তন পাক অধিনায়ক মহম্মদ হাফিজ আবার বলেছেন, ‘ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নিতে পাকিস্তানে দল পাঠাবে, এটা দিবাস্বপ্ন ছিল। অথচ, পাকিস্তান নিরাপদ এবং টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য প্রস্তুত। প্রস্তুত সমস্ত দলকে নিয়েই সফলভাবে টুর্নামেন্ট করতে। কিন্তু ভারত নিরাপদ মনে করছে না। সরকার ও পিসিবি-র থেকে কড়া পদক্ষেপের অপেক্ষায় আছি।’