নয়াদিল্লি: ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ম্যাচ দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অভিযান শুরু করবে ভারত। ১৫ তারিখ দুবাইগামী বিমানে ওঠার কথা। বাকি দলগুলির ওয়ার্মআপ ম্যাচ খেললেও রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা সেই পথে হাঁটছেন না। মাঝে দিন চারেক নেট সেশন সেরেই বাংলাদেশ-টক্করে নেমে পড়বেন।
বাংলাদেশ সেখানে ১৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গা-ঘামানো ম্যাচ খেলবে দুবাইয়ে। পাক ব্রিগেডের বিরুদ্ধে নিজেদের অস্ত্রে শান দিয়ে ভারত-টক্কর। গুরুত্বপূর্ণ দ্বৈরথের প্রাক্কালে এদিন কার্যত রোহিত ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে হুমকির সুর বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর গলায়।
ঢাকায় সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়কের আত্মবিশ্বাসী ঘোষণা, খেতাব জেতার লক্ষ্যেই তাঁরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যাচ্ছেন। সম্প্রতি আইসিসি টুর্নামেন্টে সাফল্য না পেলেও, শেষ চ্যম্পিয়ন্স ট্রফিতে (২০১৭) শেষ চারে পৌঁছেছিল টাইগার ব্রিগেড। এবার ট্রফি নিয়ে ফিরতে চান। ভারতের মতো শক্তিশালী দলকে তাই বাড়তি সমীহ করতে রাজি নন।
নাজমুল বলেছেন, ‘এই মেগা আসরে প্রতিটি দলই খেতাব জেতার ক্ষমতা রাখে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমাদেরও সেই দক্ষতা রয়েছে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই খেলতে যাচ্ছি। প্রতিটি দলের জন্যই এই টুর্নামেন্ট চ্যালেঞ্জিং। পাকিস্তানের পিচে বড় স্কোর হয়। তিনশো প্লাস করতে পারলে জেতার মতো বোলিং আমাদের আছে। দুবাইয়ে (ভারতের ম্যাচ) গড় স্কোর সেখানে ২৬০-২৮০। তবে ম্যাচের দিনের পিচ, পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই রূপরেখা তৈরি করতে হবে।’
জসপ্রীত বুমরাহর অনুপস্থিতি বাংলাদেশের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর। নতুন বলে বুমবুম এক্সপ্রেসের মুখোমুখি হওয়ার আতঙ্ক থাকছে না। যদিও বাংলাদেশ অধিনায়ক এই যুক্তিকে গুরুত্ব নিতে নারাজ। সাফ কথা, বিপক্ষের প্রতিটি প্লেয়ারের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা, ভাবনা থাকবে। কোনও একজনের থাকা, না-থাকা নিয়ে ভাবছেন না।
পাত্তা দিচ্ছেন না সাদা বলের ফর্ম্যাটে নিজের চলতি ব্যর্থতাকেও। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে সম্প্রতি ফরচুন বরিশালের হয়ে পাঁচ ম্যাচে করেছেন ০, ৯, ৪, ৪১ ও ২ রান। ব্যর্থতার কারণে বাদও পড়তে হয়েছে। নাজমুলের যুক্তি, বেশি ম্যাচ না খেলার সুযোগ পেলেও নিয়মিত নেট সেশন করেছেন। আফগানিস্তান সিরিজে শেষ ওডিআই রান পাওয়াও অক্সিজেন জোগাবে।
সাকিব আল হাসানের না থাকাকেও বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে না। অধিনায়ক নাজমুলের দাবি, এইসব নিয়ে অযথা ভেবে লাভ নেই। সাকিবভাইকে মিস করবেন। তবে বিষয়টিকে মাথায় রাখতে রাজি নন। যাঁরা আছেন, তাঁরা সাকিবের শূন্যতা পূরণের দায়িত্ব সামলালেন। এক্ষেত্রে মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদদের অভিজ্ঞ তারকা যে দলের ভরসা, পরিষ্কার করে দিলেন নাজমুল।