নয়াদিল্লি: ড্রেস রিহার্সাল শেষ। মিশন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির লক্ষ্যে শনিবার দুবাইগামী বিমানে উঠছে ভারতীয় দল। ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করবেন রোহিত শর্মা অ্যান্ড কোং। তার আগে দিনচারেক দুবাইয়ের পরিবেশ, পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া এবং প্রস্তুতিতে শেষ তুলির টান দেওয়ার চ্যালেঞ্জ।
বাকি দলগুলির বেশিরভাগ প্রস্তুতি ম্যাচ খেললেও দুবাইয়ে কোন ওয়ার্ম-আপ ম্যাচ খেলবে না ভারত। সরাসরি টুর্নামেন্টে নামবে। গৌতম গম্ভীর, রোহিত শর্মাদের বিশ্বাস, দল খেলার মধ্যে রয়েছে। ইংল্যান্ড সিরিজে প্রস্তুতিও ভালো হয়েছে। সাফল্যের ধারাটা আইসিসি টুর্নামেন্টে বজায় রাখার পালা এবার। তবে কাজটা যে কঠিন, বলার অপেক্ষা রাখে না।
রোহিত শর্মাও স্বীকার করেছেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি কঠিন ফর্ম্যাট। একটা ম্যাচের উনিশ-বিশে যে কোনও সময়ে স্বপ্নভঙ্গ হতে পারে। অথচ সতর্কভাবে প্রতিটি ম্যাচে পদক্ষেপ ফেলায় জোর দিতে হবে। ফোকাস পুরোপুরি বাইশ গজে রাখতে হবে। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডও ঠিক সেটাই চাইছে। ফলস্বরূপ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পরিবার-বন্ধুবান্ধব, ব্যক্তিগত সচিব, রাঁধুনি নিয়ে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া সফরের বিপর্যয়, সাজঘরের পরিবেশ নিয়ে বিতর্কের পর ১০ দফা বিধিনিষেধ আনার সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। গত ইংল্যান্ড সিরিজেও যা বলবৎ করা হয়েছিল। আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যা আরও কড়াকড়ি করা হচ্ছে। বোর্ডের যে নিয়মের জাঁতাকলে স্বয়ং ভারতীয় দলের হেডকোচ গৌতম গম্ভীর।
অজি সফরে দলের মধ্যে বিভাজনের অভিযোগ ওঠে। আঙুল ওঠে গম্ভীরের দিকেও। বোর্ডের অন্দরমহলেই প্রশ্ন ওঠে গম্ভীরের ব্যক্তিগত সচিবের ভারতীয় দলের টিমবাসে যাতায়াত, টিম হোটেলে থাকা নিয়ে। ব্যক্তিগত সচিব কেন জাতীয় দলের নির্বাচকদের সঙ্গে একই গাড়িতে ভ্রমণ করবে? যা নিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন গম্ভীর। বোর্ডের নয়া বিধিনিষেধে সেই ক্ষোভের প্রতিফলন। আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেই সুবিধা হাতছাড়া গম্ভীর এবং তাঁর ব্যক্তিগত সচিবের।
শুধু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেই নয়, পরবর্তী সময়ে স্ত্রী, পরিবার নিয়ে যেতে হলে বোর্ডের বিশেষ অনুমতি নিতে হবে। মানতে হবে নির্দেশিকা। ব্যতিক্রমী কিছু অনুমতি দেওয়া হলেও পুরো খরচ বহন করতে হবে ক্রিকেটারদেরই। কাটছাঁট হচ্ছে কোনও সফরে খেলোয়াড়দের লাগেজেও। ১৫০ কেজির বেশি ওজনের জিনিসপত্র নেওয়া যাবে না।
অজি সফরে ক্রিকেটারদের পরিবারের সদস্যদের লাগেজের জন্য বোর্ডকে বাড়তি অর্থ খরচ করতে হয়েছিল। ২৭টি অতিরিক্ত ব্যাগ গিয়েছিল দলের সঙ্গে। যার ওজন ২৫০ কেজির বেশি। বোর্ড পরিষ্কার জানিয়েছে, পরিবার এবং দলের সদস্যদের লাগেজ আলাদা হতে হবে। এবার থেকে পরিবারের অতিরিক্ত লাগেজের পুরো খরচ বহন করতে হবে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়কেই।