রতুয়া: নিম্নমানের খাদ্য বিলির পাশাপাশি গর্ভবতী মায়েদের অর্ধেক ডিম দেওয়ার অভিযোগে বৃহস্পতিবার রতুয়া-১ ব্লকের ভাদো পঞ্চায়েতের বলদিয়াপুকুর গ্রামের ফৌজি মোড় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়রা। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সিডিপিও।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকার শিশু সহ গর্ভবতী মায়েদের জন্য অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে যে ধরনের খাবার বিলি করার কথা, তার কোনওটাই করা হচ্ছে না। অত্যন্ত নিম্নমানের রান্না করা খিচুড়ি বিলি করা হচ্ছে। গর্ভবতী মায়েদের গোটা ডিম দেওয়ার কথা। সেখানে তাঁদের অর্ধেক করে ডিম দিচ্ছেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা। এর জেরেই এদিন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। সরকারি নিয়ম অনুসারে যাতে খাবার ও ডিম বিলি করা হয়, সেই দাবিতে বিক্ষোভে সোচ্চার হন তাঁরা।
স্থানীয় কমলা খাতুনের অভিযোগ, ‘অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খিচুড়ি অত্যন্ত নিম্নমানের। সপ্তাহে পাঁচ দিন গর্ভবতী মায়েদের গোটা ডিমের পরিবর্তে অর্ধেক ডিম দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অন্য জায়গায় সপ্তাহে ছ’দিন গোটা ডিমই দেওয়া হয়। কিছু বললেই অঙ্গনওয়াড়ি দিদিরা হুমকি দিয়ে বলেন, যা করার করে নাও। এভাবেই চলবে। তাই আজ আমরা সেন্টারে এসে বিক্ষোভ দেখাচ্ছি।’
প্রায় একই সুর স্থানীয় মোস্তফা হোসেনের গলাতেও। তাঁর কথায়, ‘এখানে ডাল ও সবজি ছাড়াই খিচুড়ি রান্না করা হয়। ওই খিচুড়ি গোরু-ছাগলও খাবে না।’
যদিও বিভিন্ন অজুহাত দেখালেও শেষে নিম্নমানের খাবার ও অর্ধেক ডিম দেওয়ার কথা স্বীকার করে নেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী জাহানারা বিবি। তবে তাঁর সাফাই, ‘আজকে সবজি শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাই সবজি ছাড়াই খিচুড়ি রান্না হয়েছে। অন্যদিন নিয়ম মেনেই রান্না হয়। গোটা ডিম দেওয়ার সরকারি নির্দেশ থাকলেও আমরা বাধ্য হয়ে গর্ভবতী মায়েদের অর্ধেক ডিম দিচ্ছি। বর্তমানে বাজারে একটি ডিমের দাম সাত টাকা। বাজার থেকে কিনে আনার সময় অনেক ডিম নষ্ট হয়ে যায়। তাই অর্ধেক ডিম দিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে।’
রতুয়া-১ ব্লক সিডিপিও গোলাম মাহাবুব এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘ভাদো বলদিয়াপুকুর গ্রামের ফৌজি মোড় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খাবার নিয়ে সমস্যা হয়েছে। বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখছি। কোনও সমস্যা থাকলে দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।’